Cyclone Amphan

নতুন তালিকায় এখনও পাকা বাড়ির মালিক

আমপানে যে সব ক্ষতিগ্রস্ত প্রথমে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের ফের দু’দিন আবেদনপত্র জমার সুযোগ দিয়েছে সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ০৩:১৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

ভাঙা বাড়ির ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের অভিযোগ আগেই জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে নতুন তালিকা তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরে এ বার সেই বাড়ি সারানোর অর্থসাহায্য ঘিরেও কিছু আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

কারণ, নতুন তালিকা থেকে সব ভুয়ো নাম বাদ যায়নি বলেই অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল, শুধু তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আর নতুন করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কিছু নাম তালিকায় উঠেছে। তবে এর বাইরেও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা পাকা বাড়ির মালিক (পাকা বাড়িতে ক্ষতিপূরণের আবেদনই করা যাবে না), বা বাড়ির ক্ষতিই হয়নি, অথচ তাঁরা ২০ হাজার টাকা ফেরত দেননি। এঁরা এখনও সরকারি তালিকায় ‘ক্ষতিগ্রস্ত’। ফলে, ৯০ কর্মদিবসের ১৮ হাজার টাকাও পাবেন।

প্রসঙ্গত, আমপানে যে সব ক্ষতিগ্রস্ত প্রথমে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের ফের দু’দিন আবেদনপত্র জমার সুযোগ দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ভাঙা বাড়ি সারাতে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ৯০ কর্মদিবস বরাদ্দ হয়েছে। নিয়মমতো সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ২০ হাজার টাকা আর বাড়ির আংশিক ক্ষতিতে ৫ হাজার টাকা মিলছে। তবে ৯০ কর্মদিবসের ১৮ হাজার টাকা পাবেন শুধু সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকরাই। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বাড়ির ক্ষতিতে ৩৮ হাজার টাকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত নন, এমন লোকের টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যেমন, ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের ভেকুটিয়া ১ পঞ্চায়েতের কিঙ্কর মান্না, নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রবিশঙ্কর গিরি, মহিষাদল ব্লকের নাটশাল ২ পঞ্চায়েতের যুক্তি প্রামাণিক। রবিশঙ্কর স্বীকার করলেন, ‘‘পারিবারিক বাড়িতে থাকি। আর আমার নামে একটা জায়গা রয়েছে। বাড়ি নেই। তবুও ২০ হাজার টাকা পেয়েছি। নতুন জব কার্ড হলে ৯০ কর্মদিবস পাব বলে জানানো হয়েছে।’’ কিঙ্কর বলছেন, ‘‘আমার পাকা বাড়ির ক্ষতি হয়েছিল। আর ক্ষতিপূরণের কেউ টাকা ফেরাতে বলেনি।’’ যুক্তিও পাকা বাড়িতেই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

Advertisement

বিজেপির তমলুক জেলা সাংগঠনিক সহ-সভাপতি প্রলয় পালের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল আর প্রশাসনের আঁতাঁতেই এই অবস্থা।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলছেন, ‘‘বিজেপি নির্দিষ্ট নাম দিয়ে অভিযোগ করুক।’’ আর জেলাশাসক পার্থ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া চলছে।

৯০ কর্মদিবসের ক্ষেত্রে ‘জিয়ো ট্যাগিং’য়ে উপযুক্ত প্রাপকদের চিহ্নিত করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন