ভাঙতে ভাঙতে এখন এই অবস্থা। —নিজস্ব চিত্র
আমপানের জেরে ঘোড়ামারা দ্বীপে বটতলা নদী বাঁধে প্রায় ১৫০০ মিটার অংশে ধস নেমেছে। পূর্ণিমার কোটালের আগে বাঁধ মেরামতি না হলে এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। বাঁধ মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর ব্লকের ঘোড়ামারা পঞ্চায়েতটি বটতলা, হুগলি ও বঙ্গোপসাগরে ঘেরা দ্বীপ। আয়লার সময়ে ওই এলাকা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল। সে সময়ে ভাঙা বাঁধ কিছুটা অংশ কংক্রিটের হয়েছে। কিন্তু এখনও পুরো কাজ শেষ হয়নি। আবার আমপানের জেরে খাসিমারা, হাটখোলা, চুনপুড়ি ও মন্দিরতলা গ্রামের কাছে বড় একটা অংশ জুড়ে বিপজ্জনক ভাবে ধস নামায় যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমপানের জেরে এলাকায় ধান, পান চাষ প্রায় শেষ। নোনা জল মিশে মরে গিয়েছে পুকুরের মাছ। বাঁধ ভেঙে ফের এলাকা প্লাবিত হলে দুর্দশার শেষ থাকবে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আয়লার পর থেকেই বাঁধ বেহাল। প্রশাসন সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: আমপানে বিধ্বস্ত ম্যানগ্রোভের ‘ঢাল’
আরও পড়ুন: আমপানের জেরে বাজারে টান পড়ছে আমের
ঘোড়ামার পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জীব সাগর বলেন, ‘‘সেচ দফতরের উদাসীনতায় বাঁধের এই দশা। একাধিকবার দফতরকে জানিয়েও সময় মতো কাজ না করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বর্তমানে বাঁধের যা অবস্থা, দ্রুত মেরামত না করলে বাঁধ ভেঙে ভাসতে হবে পুরো দ্বীপের বাসিন্দাদের।’’
কাকদ্বীপ মহকুমাশাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমপানের জেরে নদী বাঁধ ভাঙনের বিষয়ে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে দিন কয়েক আগে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে ঘোড়ামারা দ্বীপের নদী ভাঙনের বিষয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি দ্রুত বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করার জন্য সেচ দফতরকে বলা হয়েছে।’’
কাকদ্বীপ সাব ডিভিশনের সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার কল্যাণ দে বলেন, ‘‘ওখানে অনেক আগে থেকেই বাঁধ মেরামতির কাজ চলছিল। কিন্তু লকডাউনের জেরে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মেনে, রিং বাঁধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে কাজ শুরু করা হবে।’’