আমপান দুর্নীতিতে কঠোর ব্যবস্থা, বার্তা শিশিরের

দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে।  অভিযোগ প্রমাণিত ওই নেতাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বার্তা দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০২:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি

আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও পান বরজের জন্য ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ করেছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত ওই নেতাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বার্তা দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী।

Advertisement

শনিবার তমলুকে সাংসদ কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন শিশির। আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাপকদের তালিকা তৈরিতে দলের পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি ও নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা প্রসঙ্গে শিশির বলেন, ‘‘এই জেলায় ৬৫ শতাংশ ভোট তৃণমূলের। একেবারে নিশ্চিত ভোট তৃণমূলের পক্ষে। আমরাই সরকার, আমরাই বিপক্ষে রয়েছি। কোথাও আমাদের লোক দুর্নীতি করলে আমরা ছেড়ে কথা বলিনি। স্বচ্ছভাবে এই জেলা চলছে।’’ দলের যে সব নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি করে শিশির বলেন, ‘‘দলের নীতি-আদর্শ থেকে যাঁরা বিচ্যুত হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। কাউকে শো-কজ করা হচ্ছে। কাউকে পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে। কাউকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলীয় নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে এসব করা হয়ে থাকে। এতে ব্যক্তিগত ক্রোধ বা হিংসার ব্যপার নেই।’’

উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের পদুমপুর-১ এবং পাঁশকুড়া ব্লকের রঘুনাথবাড়ি পঞ্চায়েতে এই ধরনের অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়েছে। পদুমপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিঙ্কু মাইতি এবং জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে কয়েক দিন আগে এলাকায় ব্যানার পড়ে ছিল। এর পরেই তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে সোমনাথ পদত্যাগ করেন। দলীয় সূত্রের খবর, সোমনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে তাঁকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সোমনাথের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে দলীয় ভাবে তদন্তও চলছে। এ বিষয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।

Advertisement

এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে জেলা তথা রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন শিশির। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘যে সব জেলায় ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, সেখানে গরীব কল্যাণ যোজনা চালুর কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। আমাদের রাজ্যে ২৩টি জেলার মধ্যে ২০টি জেলায় ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক থাকা সত্ত্বেও একটি জেলাকেও ওই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের ১১১টি জেলাকে বেছে নিয়েছে।’’ এদিন সাংবাদিকদের দেওয়া তথ্য অনযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে এখনও পর্যন্ত ৬২ হাজার ৫০৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন।

পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করে শিশির বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম কম থাকলেও আমাদের দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকার আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করার জেরে এভাবে জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন