সতর্কতার পর সুনসান দিঘা। নিজস্ব চিত্র।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। তার জেরে দিঘা, মন্দারমণি-সহ এ রাজ্যের উপকূলেও জারি হয়েছে চরম সর্তকতা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিঘায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা পর্যটকদের সতর্ক করতে নেমে পড়েছেন। ফণীর আতঙ্কে দিঘা প্রায় সুনসান। ওল্ড দিঘার সি হক গোলার ঘাট থেকে অ্যাকোরিয়াম ঘাট, নিউ দিঘার পুলিশ পুলিশ হলিডে হোম ঘাট—সব জায়গা পর্যটক শূন্য। নিউ দিঘায় হাতে গোনা দুই একজন পর্যটকের দেখা মিললেও ওল্ড দিঘায় দেখা মিলল না কোনও পর্যটকের। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ নাগাদ সমুদ্র স্নানের একেবারে মোক্ষম সময়ে পর্যটকশূন্য সৈকত দেখে পরিচিত দিঘাকে মেলাতে কষ্ট হচ্ছিল।
দিঘা থেকে তালসারির পথে উদয়পুর সৈকতে আবার একেবারেই উল্টো ছবি। নিউ দিঘার সৈকত লাগোয়া হলেও উদয়পুর মানচিত্রে পাশের রাজ্য ওড়িশার উপকূলে পড়ে। সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও ‘ফণী’ নিয়ে এ দিন সেখানে কোনও তৎপরতা চোখে পড়ল না কি বাংলা কি ওড়িশা প্রশাসনের। দিব্যি চলছে ঢেউয়ের মধ্যেই পর্যটকদের স্নান। অস্থায়ী দোকানও বসেছে সৈকতে। স্থানীয়দের দাবি, উদয়পুর এখন ‘ভাগের মা’। কী পশ্চিমবঙ্গ, কী ওড়িশা কোনও প্রশাসনকেই এখানে দেখা যায় না। তবে ঘূর্ণিঝড় আসার কথা জানিয়ে দু’একবার মাইকে প্রচার করা হয়েছে।
শেখ লালা নামে এক পর্যটক জানালেন, ‘‘ওড়িশার পুলিশ সকালে এসেছিল। তবে সৈকতে ঘোরাফেরার জন্য কোনও বাধা দেয়নি।’’ উদয়পুরে অস্থায়ী দোকান ওড়িশার বাসিন্দা নিখিল বেরার। তাঁর দাবি, ‘‘বুধবার পুলিশ এসে বলে গিয়েছিল সমুদ্রে নামা যাবে না। আজ সকাল থেকেই প্রচণ্ড ঢেউ। পর্যটকরাও দিব্যি সমু্দের স্নান করছেন।’’ দিঘা থানার তরফে জানানো হয়েছে, এলাকাটি যেহেতু ওড়িশার অন্তর্গত তাই তারা ওড়িশার তালসারি থানাকে সতর্ক করেছে। বৃহস্পতিবার দিঘা পৌঁছয় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স- এর দল। সৈকত লাগোয়া সব দোকাটপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। উপকূল এলাকায় যাঁদের কাঁচা বাড়ি আছে, তাঁদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরানো হয়েছে।