Cyclone Fani

দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় তাণ্ডব চালাতে পারে ফণী, সতর্ক করল আবহাওয়া দফতর

হাওয়া অফিসের তরফে মৎসজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৯ ১৭:৩৫
Share:

বাবুঘাটে কলকাতা পুলিশের তরফে সতর্কতার ঘোষণা। নিজস্ব চিত্র।

অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ঘুরে শুক্রবার গভীর রাতে অথবা শনিবার ভোরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। উপকূলের জেলাগুলিতে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় তাণ্ডব চালাতে পারে ফণী। রেহাই নেই উত্তরবঙ্গেরও। রবিবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার দুপুর নাগাদ ওড়িশা উপকূলে গোপালপুর-চাঁদবালির মাঝে ফণী আছড়ে পড়ার পরঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের উপর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগোবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ফণী এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগারে অবস্থান করছে। কলকাতা থেকে ফণীর অবস্থান ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। দিঘা থেকে ৬১৫ কিলোমিটার। এ রাজ্যে তাণ্ডব চালানোর পর বাংলাদেশে ঢুকবে ফণী।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৩ মে গভীর রাত অথবা ৪ তারিখ ভোরে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ৪ মে ফণীর প্রভাব থাকবেগাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। উপকূলের দিকে গতিবেগ থাকবে ৯০ থেকে ১১৫ কিলোমিটারের মধ্যে। ৪ মে বিকেলের দিকে বাংলাদেশের দিকে ঢুকবে ফণী।”

Advertisement

আরও পড়ুন: দিঘা থেকে ৫৬০ কিমি দূরে ফণী, শনিবার রাতে ১১৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে এ রাজ্যে

আলিপুর আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর, ফণীর প্রভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই উপকূল এলাকায় বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ৩ মে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৪ তারিখ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ওই দিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও থাকছে সতর্কতা। ফণির প্রভাবে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান, নদিয়াতে। দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি, সাগরে বিশেষ নজরদারি করছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: ‘প্রবল আতঙ্কে আছি, জানি না কী হবে, জগন্নাথই ভরসা’

হাওয়া অফিসের তরফে মৎসজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে পর্যটকদেরও। দিঘা, মন্দারমণি, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, সাগরে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সতর্ক বার্তা দেওয়া হচ্ছে সময়ে সময়ে। কলকাতায় হোর্ডিং ভেঙে, গাছ পড়ে বিপত্তি ঘটতে পারে। জলমগ্ন হতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। নদীপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-ভারত, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ১০০টির উপরে ট্রেন বাতিল হয়েছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন