প্রতীকী ছবি।
তিন মাসের আন্দোলনে অনেক সরকারি দফতর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে। সেই দফতরগুলি আপাতত অন্য ভবনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত নেবে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। পুজোর ছুটির পরেই এই নিয়ে আলোচনা হবে।
মোটামুটি ভাবে ঠিক হয়েছে, আপাতত ওই দফতরগুলি এলাকার কমিউনিটি হল এবং স্থানীয় নেতানেত্রীদের বাড়িতে খোলা হবে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের মত নিয়েই সেই পথে এগোতে চাইছে প্রশাসন।
তার কারণ, নেতানেত্রীদের বাড়িতে সরকারি অফিস খোলা হলে রাজনৈতিক বা সরকারি পক্ষপাতের প্রশ্ন উঠবেই।
আরও পড়ুন: দিলীপদের পাহাড় সফর ঘিরে বিতর্ক
তবে পাহাড়ের গ্রামের ‘সমাজঘর’ বা কমিউনিটি হলে অস্থায়ীভাবে অফিস কিছু দিন চালানো যেতে পারে। জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্তর বক্তব্য, ‘‘সমাজঘরে অফিস তো হবেই। কিন্তু তারপরেও দফতরের জন্য জায়গা লাগবে।’’ তাঁর মতে, পাহাড়ের স্থানীয় ঠিকদার, নেতানেত্রীদের বাড়িঘরে অস্থায়ী ভাবে অফিস হবে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রয়োজন হলে আমরা বাসিন্দাদের মতামত নেব। ভাড়াও দিয়ে দেব। এতে তো কোনও অসুবিধা নেই।’’
মোর্চা নেতারা অবশ্য সমাজঘর বা নেতানেত্রীদের বাড়িতে অফিস খোলার বিপক্ষে। দলের অন্যতম সহকারী সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিকুমার রাই বলেন, ‘‘সমাজঘরে বেশি দিন দফতর থাকলে, মানুষ অনুষ্ঠান কোথায় করবে? আবার নেতানেত্রীদের বাড়িতে হলে পক্ষপাতের প্রশ্ন থেকেই যায়। তার বদলে প্রশাসন ভাড়া বাড়ির বিজ্ঞপ্তি দিক বা পোড়া অফিসের সামনে ক্যাম্প করে দফতর চালু করুক।’’
জাপ সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রীও জানান, ঠিকদার হোক বা নেতা, কারও বাড়িতে দফতর খোলা হলে পরিষেবার প্রশ্নে রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে। এটা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তাঁর মতে, কমিউনিটি হলে কিছু দিন কাজ করা হোক। তারপরে স্থায়ী অফিসগুলি চালু করা জরুরি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘নেতানেত্রীর বাড়িতেই অফিস খুললে রাজনৈতিক পক্ষপাত হবে।’’
প্রশাসনিক কর্তারা অবশ্য জানান, এই বিতর্ক রুখতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেই ভবন ঠিক করা হবে। কিন্তু কোনও কারণেই দফতর বন্ধ রাখা যাবে না।