মৃত্যু কমলেও পথে ভয় লরি-বাইকের

সামগ্রিক ভাবে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে রাজ্য পুলিশের আওতাধীন এলাকায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। 

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৬
Share:

গত এক বছরে রাজ্যে পথ দুর্ঘটনায় সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে লরির ধাক্কা ও মোটরবাইক দুর্ঘটনায়। রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের দাবি এমনই। তবে ওই দুই ধরনের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যার নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি পুলিশ। কিন্তু তাদের দাবি, সামগ্রিক ভাবে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে রাজ্য পুলিশের আওতাধীন এলাকায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে মোট ১১৬৯৫টি দুর্ঘটনায় ৫৬১৮ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ১০১৪২টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪০৭ জনের। রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের প্রচার এবং আমাদের পরিকাঠামো ও নজরদারি বৃদ্ধির ফলেই দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কমেছে।’’ তবে তিনি জানান, গত বছর মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, হুগলি, দার্জিলিং, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তুলনায় বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে ১৫টি রাজ্য সড়কের মোট দৈর্ঘ্য চার হাজার কিলোমিটার। জাতীয় সড়ক রয়েছে প্রায় আরও তিন হাজার কিলোমিটার। এই রাস্তাগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ নানান যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। প্রতি জেলায় ট্র্যাফিক বিভাগ সামলানোর জন্য এক জন ডিএসপি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢেলে সাজা হয়েছে জেলা পুলিশগুলির ট্র্যাফিক বিভাগকেও। এক পুলিশকর্তার মন্তব্য, ‘‘শীতকালে কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনা বাড়ে। এ বার তাতেও রাশ টানা গিয়েছে।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রের দাবি, ট্র্যাফিকের পরিকাঠামো আরও বাড়ানো হবে। বাড়ছে ট্র্যাফিক গার্ড ও ফাঁড়ির সংখ্যা। যে জেলাগুলিতে দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে, সেখানে নজরদারি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। কেন দুর্ঘটনা কমানো গেল না, তা-ও সবিস্তারে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন