Bagtui

লালনের মৃত্যুর সময় সিবিআই শিবিরে ছিলেন এক জন কেন্দ্রীয় জওয়ান! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করবে। তৃণমূলের দাবি, লালনের মৃত্যু তাৎপর্যপূর্ণ। চাপান-উতোরের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, সিবিআই হেফাজতে কী ভাবে মৃত্যু হল বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:০৪
Share:

সিবিআই হেফাজতে লালনের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ছবি: প্রতীকী

সিবিআই বলছে, আত্মহত্যা। মৃত লালন শেখের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করবে। তৃণমূলের দাবি, লালনের মৃত্যু তাৎপর্যপূর্ণ। এত রকমের চাপান-উতোরের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, সিবিআই হেফাজতে কী ভাবে মৃত্যু হল বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের?

Advertisement

এমনিতেই সিবিআই হেফাজতে যথেষ্ট নিরাপত্তা থাকার কথা। লালনের নিরপত্তার দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দু’জন সিবিআই আধিকারিক এবং এক জন কেন্দ্রীয় জওয়ান। মঙ্গলবারই লালনকে আদালতে উপস্থিত করানোর কথা ছিল। সেই সংক্রান্ত কাজেই সোমবার দুপুরে আদালতে গিয়েছিলেন দুই সিবিআই আধিকারিক। সেই সময় লালনের পাহারায় ছিলেন মাত্র এক জন কেন্দ্রীয় জওয়ান। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ শিবিরের শৌচালয়ে গিয়ে গলায় গামছা জড়িয়ে আত্মঘাতী হন লালন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বগটুইকাণ্ডের অভিযুক্তের নিরাপত্তা এতটা ঢিলেঢালা কেন ছিল?

সিবিআই অবশ্য এই নিয়ে মুখ খোলেনি। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সবের নেপথ্যে বিজেপির হাত দেখছেন। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের উপর আস্থা রাখি। অনেক যোগ্য অফিসার রয়েছেন। কিন্তু সিবিআইকে যখন বিজেপি ব্যবহার করে, তখন প্রশ্ন তো উঠবেই। বিজেপি যখন বলছে সিবিআই অমুক জায়গায় যাবে, অমুককে ধরে আনবে, তখন বলতেই হয়, আধিকারিকরা নন, বিজেপি চালাচ্ছে তদন্ত।’’

Advertisement

সোমবার সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়ে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় লালনের। এর পর তাঁর দেহ পাঠানো হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। খবর পেয়ে হাসপাতালের সামনে পৌঁছয় লালনের পরিবার।

গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদুকে। সেই খুনের পর রাতে বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। লালনের বিরুদ্ধে বগটুইয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ছিল। চলতি মাসেই ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করা হয় লালনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন