Bagtui

সিবিআই ক্যাম্পে ঝুলন্ত দেহ মিলল বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের! এ মাসেই গ্রেফতার হন লালন

দিন কয়েক আগে লালনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গত ৪ ডিসেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। সেই সময় থেকে তিনি সিবিআই হেফাজতে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:২০
Share:

বগটুইকাণ্ডে গ্রেফতার লালন শেখের মৃত্যু! —ফাইল চিত্র।

সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। মঙ্গলবার এমনটাই জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। যদিও কী কারণে এই মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাটে সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে জেরা চলাকালীন মৃত্যু হয় লালনের। তখন বিকেল ৪টা বেজে ৫০ মিনিট হয়েছে। এর পর ভিডিয়োগ্রাফি করে দেহ পাঠানো হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। খবর পেয়ে হাসপাতালের সামনে পৌঁছে যায় লালনের পরিবারের লোকজন। অন্য দিকে, উত্তেজনা প্রশমন করতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের সামনে পৌঁছে যায় বীরভূম জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রামপুরহাটের এসডিপিও-সহ অন্যান্য আধিকারিক উপস্থিত হন। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকা।

লালনের বিরুদ্ধে বগটুইয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ছিল। তাঁকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে কয়েক দিন আগে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত ৪ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে বিচারক তাঁকে ৬ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement

গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদুকে। সেই খুনের পর রাতে বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।

সিবিআই দাবি করে বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্তই আসলে লালন। তিনি নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ডান হাত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে ওই কাণ্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে করে লালনের নাম পান আধিকারিকরা। ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে যাঁদের পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের আত্মীয় মিহিলাল শেখ ধৃত লালনের ফাঁসির দাবি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘সে দিন যে দলবল এসেছিল তার নেতৃত্বে ছিল লালন। আমরা ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এটা মানুষও চাইছে।’’ সিবিআই হেপাজতে সেই লালনের ‘রহস্যমৃত্যু’ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চাঞ্চল্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন