লোহার রেলিংয়ে এ ভাবেই ঝুলতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। সোমবার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
বিজেপি নেতারা ‘কথা’ শুনলে ওই দুর্ঘটনা হয়তো এড়ানো যেত। মেদিনীপুরে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভা চলাকালীন যে শামিয়ানা ভেঙে পড়ে, তার নির্মাতা সংস্থার মালিক এই দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই কাঠামোর উপরে ১০ হাজার লোক উঠে পড়েছিল। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি সভা শুরু হওয়ার পরে ওখান থেকে বেরিয়েছি। আসার আগে নেতাদের বলেও এসেছি, স্যর, যারা ওই কাঠামোর উপরে উঠে পড়েছে, তাদের নামাতে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও লাভ হল না।’’
কলকাতায় বিজেপি দফতরের অদূরে জে এন ডেকরেটরের অফিস। মালিক রাজীব কুমার সিংহের বক্তব্য, তাঁরা অন্তত ১০ বছর বিজেপির বিভিন্ন সভার মঞ্চ-সহ নানা কাঠামো তৈরি করে আসছেন। সম্প্রতি পুরুলিয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার মঞ্চও তাঁরাই করেছিলেন। এ দিন নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থলে ছাউনি ভাঙার পরে তিনি নিজেও চিন্তিত। আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়ার কথা। কলকাতায় রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ না করলেও ঘটনাস্থলে তাঁদের মঞ্চ খুলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে রাজীববাবু জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার মূল মঞ্চও তাঁদের তৈরি। তবে রাজ্য সরকার তা দেখে অনুমোদন করে। এ ক্ষেত্রে ওই মঞ্চকে রাজ্য শংসাপত্র দিয়েছিল। দুর্ঘটনা ঘটে দর্শক বসার শামিয়ানায়।
সভাস্থলে কী কী করা উচিত ছিল, তা নিয়ে এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র চাপানউতোর হতেও দেখা যায়। পরে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘বাবুলকে বলেছি, শেষ মুহূর্তে পরামর্শ না দিয়ে দু’ দিন আগে বললে ভাল হত।’’ বাবুলের বক্তব্য, ‘‘এ নিয়ে মন্তব্য করব না। আমি কোনও পরামর্শও দিতে যাইনি। বৃষ্টির জন্য দুর্ঘটনা।’’