Cash for Query Mahua Moitra

লোকপালের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ পেলেন না মহুয়া, শুনানি শেষে রায় স্থগিত রাখল দিল্লি হাই কোর্ট

সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় আগেই মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। গত ১২ নভেম্বর লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সিবিআইকে চার্জশিট দেওয়ারও অনুমতি দেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৫২
Share:

কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল লোকপাল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মহুয়া যে মামলা করেছিলেন, তার রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। লোকপালের নির্দেশে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশও দিতে চায়নি আদালত। ফলে শুক্রবার আদালত থেকে খুব একটা স্বস্তি পেলেন না কৃষ্ণনগরের সাংসদ।

Advertisement

সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় আগেই মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করেছে এবং বিস্তারিত রিপোর্ট লোকপালের দফতরে জমা দিয়েছে। তদন্তে যা যা উঠে এসেছে, রিপোর্টে তা ব্যাখ্যা করে সিবিআই মহুয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল। গত ১২ নভেম্বর লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সিবিআইকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি দেয়। বলা হয়, চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট আদালতে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া।

আদালতে লোকপালের নির্দেশ বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন মহুয়া। সেই সঙ্গে নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশও চেয়েছেন। তাঁর আর্জি ছিল, যত দিন বিষয়টি দিল্লি হাই কোর্টে বিচারাধীন, তত দিন যেন সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না-করে, তা নিশ্চিত করা হোক। শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। মহুয়া, সিবিআই এবং লোকপালে অভিযোগকারী বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবের বক্তব্য শুনেছে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত রায়দান স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে লোকপালের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে মহুয়া যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাতে অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

Advertisement

মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার অনুমতি এখনও সিবিআইকে দেয়নি লোকপাল। ১২ নভেম্বরের নির্দেশেই বলা হয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে আগে চার্জশিট জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে আদালতকে অবগত করতে হবে। তার পর আইনি প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি মিলবে।

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি সংসদে প্রশ্ন করেছেন। নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই মহুয়া এই কাজ করেছেন। এই অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়াকে সাংসদপদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছিলেন নিশিকান্ত। এ ছাড়া, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও।

সিবিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ঘুষ নিয়ে সংসদে মোট ৬১টি প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া। তার মধ্যে তিনটি প্রশ্ন করা হয়েছিল সামনাসামনি, অফলাইন মাধ্যমে। বাকি প্রশ্নগুলি অনলাইনে আপলোড করা হয়েছিল। হীরানন্দানি নিজেই হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, মহুয়ার সংসদের লগ ইন আইডি জেনে তাতে প্রশ্ন পোস্ট করতেন তিনি। এই ঘটনায় এথিক্স কমিটির সুপারিশ মেনে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার লোকসভার সাংসদপদ খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে ওই কেন্দ্র থেকে জিতেই আবার সাংসদ হন মহুয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement