বাণিজ্যিক গাড়ি কেনার সময়সীমা বাড়তে পারে। —ফাইল চিত্র।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে শুরু হওয়া লকডাউনে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন পরিবহণ ব্যবসায়ীরা। ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠছেন তাঁরা। বেসরকারি পরিবহণকে আরও চাঙ্গা করতে কী কী পদক্ষেপ করা যায় সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। শুক্রবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনের নেতৃত্বে এক জরুরি বৈঠক হয়। যেখানে বাণিজ্যিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ‘অফার লেটার’-এর সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি, ডাকা হয়েছিল বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্রাক, লরি পরিষেবাদানকারী বেসরকারি সংগঠনগুলিকে। সেখানেই পরিবহণ দফতরের শীর্ষকর্তা বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের নেতাদের জানান, বাণিজ্যিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ‘অফার লেটার’-এর সময়সীমা বৃদ্ধি করতে চায় পরিবহণ দফতর। বর্তমানে ‘অফার লেটার’-এর মেয়াদ রয়েছে তিন মাস বা ৯০ দিন। কোনও ব্যক্তি বাণিজ্যিক গাড়ি কিনতে চাইলে তিনি পরিবহণ দফতর থেকে যে অনুমতিপত্র বা ‘অফার লেটার’ পান, তার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। যদি ‘অফার লেটার’ প্রাপক নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গাড়ি না কিনতে পারেন, তবে তা ৯০ দিন পর বাতিল হয়ে যায়।
নতুন নিয়মে এই সময়সীমা ৯০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৮০ দিন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি এই বিষয়ে সায় দিয়েছে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলছেন, ‘‘বাণিজ্যিক গাড়ি কেনায় উৎসাহ দিতেই এই নতুন পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। করোনাকালে যে ভাবে বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেই প্রভাব এখনও কাটিয়ে ওঠা যায়নি। তাই বেসরকারি পরিবহণে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করতেই এই ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে।’’
বৈঠকেই বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলিকে জানানো হয়, এই বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেই, তা পরিবহণ দফতরের পোর্টালে জানিয়ে দেওয়া হবে। বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির নেতাদের ইমেল মারফত জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে পরিবহণ সংগঠনগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রগুলিতে এই বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিলেই বিষয়টি পরিবহণ ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। বৈঠকে হাজির জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা আমাদের কথা পরিবহণ দফতরকে জানিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করার মতো সময় এখনও আসেনি। তাই আমরা আশা করব পরিবহণ দফতর যে সিদ্ধান্তই নেবে, তা পরিবহণ ব্যবসায়ীদের অনূকূলে হবে।’’