অসহায়: মাথা বাঁচিয়ে নিয়েছেন পথচলতি মানুষ। বৃষ্টিতে ভিজছে খাঁচার খরগোশ-পাখি। গালিফ স্ট্রিটে রবিবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
গাঙ্গেয় বঙ্গে বর্ষাকে সক্রিয় করে তুলতে হাওয়ামোরগ তার দিকেই তাকিয়ে। বঙ্গোপসাগরের সেই ঘূর্ণাবর্ত স্বাভাবিক বিবর্তনেই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস জানায়, আপাতত নিম্নচাপটির অভিমুখ ওডিশার দিকে। ওই ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই বর্ষাকে অনেকটা সক্রিয় করে তুলেছে। তার ফলে আগামী দিন কয়েক দক্ষিণবঙ্গে কমবেশি বৃষ্টি হবে।
দিল্লির মৌসম ভবনের খবর, রবিবার সকালেই ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি বা়ড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। রাতে তার শক্তি আরও বেড়েছে। তখন সে ছিল ওডিশা, লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। আজ, সোমবার সকালে সে ওড়িশায় ঢুকতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, নিম্নচাপটি ওডিশার দিকে সরে যাওয়ায় আজ থেকে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় বৃষ্টি কিছুটা কমবে। তবে দুই মেদিনীপুর-সহ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় তুলনায় বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার ঘূর্ণাবর্ত দানা বাঁধার পর থেকেই বর্ষা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তার ফলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি জুড়ে বৃষ্টি চলছে। রবিবারেও বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ১০.৯ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন: মেয়ে পাচার রুখতে বিশ্ব-তহবিল দুই বোনের
১২ জুন বর্ষা এলেও সে-ভাবে বৃষ্টি হচ্ছিল না। মেঘমুক্ত আকাশে চড়া রোদ উঠছিল। জোলো হাওয়ায় আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় আষাঢ়েও অস্বস্তি চরমে ওঠে। তাই বর্ষার আগমন নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল আমজনতা। বর্ষার এই দশা নিয়ে আবহবিদদের একাংশের ব্যাখ্যা ছিল, জুনে বর্ষা তেমন জোরালো হয় না। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ দানা বাঁধলে বর্ষা জোর পেতে পারে। আলিপুর হাওয়া অফিসের এক কর্তার কথায়, ‘‘এই ঘূর্ণাবর্ত সেই অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে।’’
বর্ষা জোরালো হওয়ার পরেই দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের আকাশে মেঘ ঢুকতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি নামায় অস্বস্তি কমেছে। এ দিন সকালে রোদ উঠলেও তাপমাত্রা বা অস্বস্তি মাত্রা ছাড়ায়নি।