BJP

শাহ যখন লাইভ শোয়ে, চুপচাপ রাজ্য চষছেন তাঁর ‘সপ্তরথী’

সপ্তাহের বাকি দিন দিল্লি বা নিজের রাজ্যে কাজ থাকলেও প্রতি শনি ও রবিবার ওই নেতারা বাংলায় সফর করবেন। নির্দেশ অমিতের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও হুগলি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:২৯
Share:

রবিবার চুঁচুড়ায় উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। — নিজস্ব চিত্র

বোলপুরে যখন ক্যামেরার ফোকাসে অমিত শাহ, তখন কেউ প্রকাশ্যে কেউ নিঃশব্দে বাংলার জেলা থেকে জেলা চষছেন তাঁর সপ্তরথী। এঁরা সবাই ভিনরাজ্য থেকে আসা। এঁদের সবাই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় বা রাজ্য স্তরের রাজনীতিতে একেবারে সামনের সারিতে। অমিত এঁদের বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন বাংলার ভোটে। যেমন উত্তর প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। শনিবার হুগলির চুঁচুড়ায় সাংগঠনিক বৈঠক ছাড়াও, পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে দলের ‘জনসম্পর্ক’ কর্মসূচিতে যোগ দিলেন মোদী-অমিতের এই ভরসার নেতা।

Advertisement

শুধু মৌর্য নন, পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে আরও ৬ নেতার উপরে দায়িত্ব দিয়েছেন অমিত। সেই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ৫ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, সঞ্জীবকুমার বালিয়ান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, মুকেশ মাণ্ডবিয়া, প্রসাদ সিংহ পটেল। রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। বিজেপি সূত্রে খবর এই ৭ জনের উপরে রাজ্যের ৬টি করে লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দিয়েছেন অমিত। শনিবার রাতে রাজারহাটের হোটেলে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে যে বৈঠক করেন অমিত, সেখানে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি এই নেতারা সকলেই হাজির ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে হাজিরও ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ধর্মেন্দ্র এই তালিকায় না থাকলেও নির্বাচনের আগে তাঁকে ঘনঘন বাংলায় আসতে বলেছেন অমিত। আর মূল দায়িত্বে থাকা ৭ জনকে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে বাংলায় আসতে বলা হয়েছে। অমিতের নির্দেশ মতো, সপ্তাহের বাকি দিন দিল্লি বা নিজের রাজ্যে কাজ থাকলেও প্রতি শনি ও রবিবার ওই ৭ নেতা বাংলায় সফর করবেন। রাজ্য বিজেপিকে সেই মতো কর্মসূচি ঠিক করতে হবে।

অমিতের বৈঠকের পরদিনই হুগলিতে নেমে পড়লেন মৌর্য। বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁর উপরে মূলত হাওড়া ও হুগলি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রবিবার তিনি চুঁচুড়ার লোহাপট্টিতে স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। কিন্তু মূল কর্মসূচি ছিল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে ঋষিকেষ পল্লিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কারও দাওয়ায় বসে পড়েন আবার কোনও শিশুকে কোলে তুলে নেন। পরে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এক দলিত পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। এ সবের মাঝে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলকে আক্রমণও করেন মৌর্য। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় উত্তরপ্রদেশ মডেল অনুসরণ করা হলে এখনই তৃণমূলকে চলে যেতে হত না।’’

Advertisement

রাজ্যে নির্বাচনী দায়িত্ব পাওয়ার পরে এই প্রথম নয়, আগেও দু’বার বাংলায় এসেছেন মৌর্য। তিনি ছাড়াও কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় সফর করেছেন। নরোত্তম মিশ্র বর্ধমানে এবং সঞ্জীবকুমার বালিয়ান উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন সাংগঠনিক কাজে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে যা খবর, তাতে আগামী কয়েক মাসে বাংলায় ভিনরাজ্যের বিজেপি নেতাদের আনাগোনা লেগেই থাকবে। এরই মধ্যে রবিবারই রাজ্যে আসছেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি ভানতী শ্রীনিবাসন। তবে তাঁর কর্মসূচি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন