West Bengal

Teachers Day: নাছোড় পড়ুয়ারা, স্কুলেই শিক্ষক দিবস

পড়ুয়াদের আর্জি মেনে রবিবার খড়্গপুর গ্রামীণের রূপনারায়ণপুর প্রাথমিক স্কুলের দরজা খুলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি

স্কুলে ‘দুয়ারে সরকারে’র শিবির হচ্ছে। করোনা পরীক্ষার শিবিরও হচ্ছে। সেখানে অনেক লোকজন আসছেন। তা হলে তাদের স্কুলে আসতে অসুবিধা কোথায়— শিক্ষকদের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছিল পড়ুয়ারা। সঙ্গে আর্জি, অন্তত শিক্ষক দিবসে স্কুল খুলতেই হবে। স্কুলেই পালন করতে হবে দিনটি।

Advertisement

পড়ুয়াদের আর্জি মেনে রবিবার খড়্গপুর গ্রামীণের রূপনারায়ণপুর প্রাথমিক স্কুলের দরজা খুলেছে। ছাত্রছাত্রীরা এসেছে। স্কুল চত্বরেই পালিত হয়েছে শিক্ষক দিবস। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) তথা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তরুণ সরকার অবশ্য বলেন, ‘‘স্কুলে দিনটি পালনের নির্দেশ ছিল না। আমরা জেলাস্তরে একটি অনুষ্ঠান করেছি।’’ ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বীরেন পালের স্বীকারোক্তি, ‘‘ছেলেমেয়েগুলোকে না করতে পারিনি। বলতে পারেন, পড়ুয়াদের আর্জি মানতে বাধ্য হয়েছি।’’ তিনি আরও জানান, স্কুলের দরজা খোলা হলেও শ্রেণিকক্ষের দরজা খোলা হয়নি। করোনা বিধি মেনেই দিনটি পালন হয়েছে। একেবারে ছোটদের আসতে বারণ করা হয়েছিল।

দিন কয়েক আগেই ওই প্রাথমিক স্কুলে 'দুয়ারে সরকার' শিবির হয়েছে। সে দিন প্রধান শিক্ষক স্কুলে গিয়েছিলেন। অভিভাবকদের অনেকে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম নিতে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিল কিছু পড়ুয়াও। তখনই পড়ুয়ারা প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই আর্জি জানিয়েছিল। এক পড়ুয়ার প্রশ্ন ছিল, ‘‘স্কুল কবে খুলবে? স্কুলে তো সবই হচ্ছে! শুধু আমরা এসেই পড়াশোনা করতে পারছি না।’’ কয়েকজন পড়ুয়া জানিয়েছিল, তারা শিক্ষক দিবসে স্কুলে আসতে চায়। স্কুলেই দিনটি পালন করতে চায়। এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় আড়াইশো। এ দিন শুধু চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়া স্কুলে এসেছিল। স্কুল চত্বরে গাছতলায় সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের ছবি রেখে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। রাধাকৃষ্ণনের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। শিক্ষকেরা সবাই মিলে পড়ুয়াদের খাতা, পেন, পেনসিল প্রভৃতি শিক্ষা সামগ্রী দিয়েছেন। হয় মিষ্টিমুখও।

Advertisement

এ দিন স্কুলে এসেছিল পল্লব পন্ডা, পৌলমী পন্ডা, বাতাসি সিংরা। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী পৌলমী, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র পল্লব বলছিল, ‘‘অনেক দিন পরে স্কুলে এলাম। স্যরদের সঙ্গে দেখা হল। খুব ভাল লাগছে। আমরা চাই, তাড়াতাড়ি এ বার স্কুল খুলুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন