Calcutta High Court

কেন ইউনিয়ন রুম বন্ধের নির্দেশ? প্রয়োজনে কী ভাবে ব্যবহার করা যাবে? হাই কোর্টের নির্দেশে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজেরও উল্লেখ

কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এই মর্মে উচ্চ শিক্ষা দফতরকে বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন নির্দেশ?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ০০:১১
Share:

রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ইউনিয়ন রুম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সমস্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এই মর্মে উচ্চ শিক্ষা দফতরকে বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন নির্দেশ? প্রয়োজনে কী ভাবে ব্যবহার করা যাবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম? নির্দেশে তা বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন বিচারপতিরা। আনন্দবাজার ডট কমের হাতে এসেছে সেই নির্দেশের প্রতিলিপি। তাতে বলা হয়েছে, মামলাকারী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় হলফনামা দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অবস্থা জানিয়েছেন। দায়ের করেছেন জনস্বার্থ মামলা। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র সংসদের কোনও নির্বাচন হয়নি। অনেক কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। ফলে বর্তমানে ওই বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলিতে কোনও কার্যকর ছাত্র সংগঠন নেই।

Advertisement

এই অবস্থায় রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে আদালতের নির্দেশ, যে সমস্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ ছাত্র সংগঠন বা সংসদ নেই অথবা সম্প্রতি ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, সেখানে ছাত্র সংসদের কক্ষ বা ‘স্টুডেন্ট ইউনিয়ন রুম’ তালাবন্ধ করে রাখতে হবে। সেখানে ঢুকতে গেলে রেজিস্ট্রার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি লাগবে। তা ছাড়া ইউনিয়ন রুম ব্যবহার করা যাবে না। কোনও ছাত্র যদি বিশেষ প্রয়োজনে ইউনিয়ন রুম ব্যবহার করতে চান, তার কারণ তাঁকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। তবে এই নির্দেশ শুধু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুমের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ছাত্রছাত্রীদের বিনোদন কক্ষ বা কমন রুমের জন্য এই নির্দেশ নয়।

সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ এবং সুরেন্দ্রনাথ ল কলেজকে এই মামলায় যুক্ত করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ইউনিয়ন রুম শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থার অধীনে থাকবে এবং যত ক্ষণ না নতুন নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ তদন্তকারীদের অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ এই ঘর ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ছাড়া, ওই কলেজের গভর্নিং বডি বা পরিচালন সমিতিকে নিশ্চিত করতে হবে, পড়ুয়াদের পড়াশোনা যাতে ব্যাহত না হয়। কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতেও বলেছে আদালত। আগামী ১৭ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement