অশোকনগরে ব্যবসায়ীকে খুনে গ্রেফতার তাঁরই ঘনিষ্ঠ

অশোকনগরের ফল ব্যবসায়ী রাজু সরকারের খুনের ঘটনায় রবিবার রাতে বনগাঁ জিআরপি অশোকনগর থানার পুলিশের সহযোগিতায় তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দীপঙ্কর দেবনাথ। তার বাড়ি স্থানীয় এজি কলোনি এলাকায়। ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু আইনজীবীদের কর্মবিরতি থাকায় এ দিন তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। আজ, মঙ্গলবার দীপঙ্করকে তোলা হবে আদালতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অশোকনগর শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৪ ০১:৩৭
Share:

অশোকনগরের ফল ব্যবসায়ী রাজু সরকারের খুনের ঘটনায় রবিবার রাতে বনগাঁ জিআরপি অশোকনগর থানার পুলিশের সহযোগিতায় তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দীপঙ্কর দেবনাথ। তার বাড়ি স্থানীয় এজি কলোনি এলাকায়। ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু আইনজীবীদের কর্মবিরতি থাকায় এ দিন তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। আজ, মঙ্গলবার দীপঙ্করকে তোলা হবে আদালতে।

Advertisement

ধৃতকে জেরার পরে জিআরপির দাবি, ঘটনার দিন রাতে দীপঙ্করই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসেছিল রাজুকে। প্ল্যাটফর্মে বসে তারা এক সঙ্গে মদ্যপান করে। পরে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাজুকে গুলি করে, বোমা মেরে খুন করা হয়। তিনি ওই প্ল্যাটফর্মেই ফলের ব্যবসা করতেন। স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় তাঁর বাড়ি।

ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, দীপঙ্করই খুন করেছে রাজুকে। একটা সময়ে দীপঙ্কর ফলের ব্যবসা করত। পরবর্তী সময়ে অনলাইন লটারির নেশায় সে সর্বস্বান্ত হয়। দু’জনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। সম্প্রতি রাজুর কাছে সে টাকা চেয়েছিল ফের ফলের ব্যবসা করবে বলে। রাজুর দোকানে এক সঙ্গে বসে ব্যবসাও করতে চেয়েছিল সে। রাজু বন্ধুর প্রস্তাব মেনে নিতে পারেননি। তা নিয়েই দু’জনের গোলমাল বাধে। পুলিশের দাবি, তার জেরেই রাজুকে খুন দীপঙ্কর।

Advertisement

পুলিশের দাবি, গুলি করে পালানোর সময়ে দীপঙ্করকে কয়েক জন দেখেও ফেলে। জিআরপি ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল-গ্লাস উদ্ধার করে। নিহতের স্ত্রী দোলন এবং ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাজু নিজের কাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবত না। নির্বিবাদী স্বভাবের ছিল। তার খুনে দোষীর কঠোর শাস্তি চান স্থানীয় মানুষ। এ দিকে নিত্যযাত্রীদের দাবি, সন্ধ্যার পর থেকে গোটা স্টেশন চত্বর চলে যায় সমাজবিরোধীদের দখলে। চলে সাট্টা-জুয়ার আসর। রমরমিয়ে চলে চোলাইয়ের ব্যবসা। ট্রেন যাত্রীরা যাতায়াত করতে রীতিমতো ভয় পান। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর দত্ত বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি পুলিশের কাছে।” রেল পুলিশ ও জেলা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন