এই ভাবেই ঝুঁকির যাতায়াত।—নিজস্ব চিত্র।
অটো ও বাস চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রবিবার থেকে বন্ধ উলুবেড়িয়া- আমতা ৭০ নম্বর রুটের বাস চলাচল। এর জেরে সমস্যায় পড়লেন সাধারণ যাত্রীরা।
বাস ও অটো চালকদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার দুপুরে ঘটনার সূত্রপাত। আমতা থেকে উলুবেড়িয়ার দিকে একটি অটো আসছিল। ১০ নম্বর পুলের কাছে একটি বাসের কিছু লোক অটোটিকে আটকায়। অভিযোগ, তারা অটো চালককে মারধর করে যাত্রী নিয়ে আসার জন্য। পরে আবার একটি বাস আমতার দিকে যাওয়ার সময়ে শিবেনারের কাছে অটোচালকরা বাসটিকে আটকে ড্রাইভার ও খালাসিকে পাল্টা মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে বাসচালকেরা বাস চালাতে অস্বীকার করেন। বাস মালিকরাও বাস চালানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।
বাসমালিকেরা জানান, ১০ নম্বর পুল থেকে নিমদীঘি পর্যন্ত একটি ছোট অবৈধভাবে একটি অটো রুট চালু হয়েছে। আমতা থেকে কোনও বাস ১০ নম্বর পুল পর্যন্ত আসার আগেই, অটো ছেড়ে যায়। ফলে বাসের যাত্রী হয় না। বাসমালিকদের অভিযোগ, এর জেরে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। শনিবারও এক অটোচালক ওই ভাবে যাত্রী তুলে নিয়েছিলেন বলে বাসচালকেরা প্রতিবাদ করেছিলেন। তার জেরে তাঁদের মারধর করা হয়। বাসমালিকরা আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অন্য দিকে, অটোচালকদের পাল্টা দাবি, তাঁদের উপরেই প্রথম হামলা করা হয়েছে। যদিও কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি তাঁরা।
বাসমালিকদের সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, আগে ওই রুটে গোটা কুড়ি বাস চলত। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে নিমদীঘি-১০ নম্বর পুল রুটে ৮০-১০০ টি অবৈধ অটো চলতে শুরু করেছে। এর জেরে লোকসানের মুখে পড়ছেন তাঁরা। ওই রুটের এক বাসমালিক তমাল বেরা বলেন, “অবৈধ অটোর দৌরাত্ম্যে আমাদের লোকসান হচ্ছে। কিস্তির টাকা মেটাতে পারছিনা।”
আমতা-উলুবেড়িয়া বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সনাতন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এ-ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক, আর অবৈধ অটো বন্ধ করুক প্রশাসন।”
অবৈধ অটো চলাচল নিয়ে হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় বসু বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।