সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ছেলেকে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। জখম হয়েছেন নাতি এবং বউমাও। তাদের কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার কাকদ্বীপের বামানগর গ্রামের ঘটনা। নিহত উজ্জ্বল মণ্ডলের (৩০) শাশুড়ি মায়া মণ্ডল উজ্জ্বলবাবুর বাবা শ্রীপতি মণ্ডল, মা কাঞ্চন মণ্ডল ও দিদি প্রীতিলতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কাঞ্চন দেবীকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি দু’জন পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জমি নিয়ে বিবাদে আক্রোশেই এই খুন। ধৃতকে এ দিন কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জমি নিয়ে বাবা শ্রীপতি মণ্ডলের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে উজ্জ্বলের বিবাদ চলছিল। দিন কয়েক আগে প্রতিবেশীদের মধ্যস্থতায় তা মিটে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে পাশাপাশি দু’টি ঘরের একটিতে স্ত্রী ও পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে শুয়েছিলেন উজ্জ্বল। অন্যঘরে মেয়ে প্রীতিলতা এবং শ্রীপতিবাবু ও কাঞ্চনদেবী শুয়েছিলেন। দু’টি ঘরেরই দরজা নেই। রাত তিনটে নাগাদ ধারাল অস্ত্র নিয়ে ছেলের ঘরে ঢুকে তাঁর গলায় কোপ মারেন শ্রীপতি। চিৎকারে ঘুম ভেঙে দেখে শ্বশুরকে এই কাণ্ড ঘটাতে দেখে তপতীদেবী বাধা দিলে অস্ত্রের আঘাতে জখম হন তিনিও। এমনকী জখম হয় নাতি উদিতনারায়ণও। তপতীদেবীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তিনজনকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে উজ্জ্বলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। উজ্জ্বলের শ্যালক জানান, জামাইবাবুর সঙ্গে তাঁর বাবার জমি নিয়ে ঝগড়াঝাটি চলছিল। কিন্তু তার জন্য যে এমনটা ঘটবে কে জানে!