ত্রাণের দাবি, অবরুদ্ধ কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে

ত্রাণের দাবিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় অবরোধ চলল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে। শনিবার রাতে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন জেলার বহু এলাকা। ব্যারাকপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ত্রাণ বিলি শুরু হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে দাবি তুলে এ দিন সকাল ১১টা থেকে কেউটিয়া এবং নারায়ণপুর মোড়ে অবরোধ করেন স্থানীয় কিছু মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৪ ০০:৫৮
Share:

কখন অবরোধ উঠবে জানা নেই। অগত্যা এ ভাবেই সময় কাটাতে ব্যস্ত দুই ট্রাকচালক। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।ম

ত্রাণের দাবিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় অবরোধ চলল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে। শনিবার রাতে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন জেলার বহু এলাকা। ব্যারাকপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ত্রাণ বিলি শুরু হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে দাবি তুলে এ দিন সকাল ১১টা থেকে কেউটিয়া এবং নারায়ণপুর মোড়ে অবরোধ করেন স্থানীয় কিছু মানুষ। সন্ধের দিকে পানপুর মোড়েও অবরোধ হয়। ত্রাণ বিলি নিয়ে দলবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের তরফে দাবি, ত্রাণ বিলির কাজ চলছে। দলবাজির অভিযোগ মানতে চাননি প্রশাসনের কর্তারা। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শিলাবৃষ্টিতে এলাকায় বহু বাড়ির টালি ভেঙেছে। দরজা-জানলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই অনেকের। কারও কারও দোকান ঘর ভেঙেছে। ত্রিপল মিলছে না। বহু জায়গায় শনিবার রাতের পর থেকে লোডশেডিং চলছে। পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে অভিযোগ বিস্তর। অবরোধকারীদের বক্তব্য, ত্রাণের দাবি নিয়ে সোমবার ব্যারাকপুর ১ বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে ত্রাণ বিলি নিয়ে দলবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ সবেরই প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকে বিজিও অফিসের সামনের রাস্তায় প্রথমে অবরোধ শুরু হয়। পরে তা অন্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকশো মানুষ অবরোধে সামিল হয়েছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবরোধের জেরে বহু পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়ে। তবে বহু ছোট গাড়ি কোনও ভাবে বেরিয়ে যানজটের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেউ ত্রাণ বিলি করলে বিধিভঙ্গের দায়ে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিলি নিয়ে দলবাজির অভিযোগ মানতে নারাজ প্রশাসনের কর্তারা। অন্য দিকে, জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল জানান, রবিবার বিকেল থেকেই ত্রাণ বিলি শুরু হয়েছে ব্যারাকপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে। ওই দিন তিনি নিজেও এসেছিলেন ব্যারাকপুরে। তারপরেও ত্রাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনকে জানানো যেতেই পারে। এ দিন দীর্ঘ ক্ষণ অবরোধ চললেও প্রশাসনের কর্তাদের অবশ্য দেখা মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন