ভাড়াটের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাড়িওয়ালার ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর ২ নম্বর এলাকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মনোরঞ্জন বাবালির বাড়িতে ভাড়া থাকে মেয়েটির পরিবার। সোমবার দুপুরে মেয়েটির বাবা-মা কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাবা রান্নার কাজ করেন। মা পরিচারিকা। ভাইবোনেরাও কেউ বাড়িতে ছিল না। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়িতে একা থাকার সুযোগে মনোরঞ্জনের ছেলে বিজয় ভাড়াটের ঘরে ঢোকে।
সেখানেই ওই নাবালিকাকে সে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে এগারো বছরের মেয়েটিকে ঘরে রক্তাক্ত, অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে পালায় বাড়িওয়ালার ছেলে।
মা বাড়ি ফিরলে মেয়ে সব কথা জানায়। চুঁচুড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসে। গুরুতর অসুস্থ ছাত্রীকে ভর্তি করা হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। মেয়ের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী জানান, সন্ধ্যার দিকে চুঁচুড়া থেকেই ধরা পড়ে অভিযুক্ত যুবক। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের বিচারক ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
চুঁচুড়া হাসপাতালের সুপার শশাঙ্কভূষণ গোস্বামী বলেন, “মেয়েটিকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে রক্ত দিতে হয়েছে। অস্ত্রোপচারও হয়েছে। সঙ্কট এখনও কাটেনি।”