প্ল্যাটফর্ম জুড়ে বসে থাকে হকার, মহিলাদের জন্য শৌচালয়ও নেই

ন্যূনতম যাত্রী পরিষেবা ছাড়াই হাজারো অসুবিধা নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে মথুরাপুর রেলস্টেশনের যাত্রীদের। পূর্ব রেলের শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার অন্যান্য স্টেশনের চেয়ে টিকিট কাটার হার তুলনামূলক বেশি থাকলেও, টিকিট কাউন্টারে খুচরো পয়সা নিয়ে ঝামেলা থেকে শুরু করে শৌচাগার ইত্যাদি নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বিকেলের দিকে দেখা হল মথুরাপুরের বাসিন্দা অভিরূপ হালদারের সঙ্গে। তিনি একজন নিত্যযাত্রী। তাঁর অভিযোগ, “একটা সমস্যা হলে তো হত। সব থেকে বড় সমস্যা, যেখানে সেখানে হকার বসে গিয়েছে। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে অনেক সময় ট্রেন মিস হয়ে যায়।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মথুরাপুর শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৪ ০১:০৩
Share:

ন্যূনতম যাত্রী পরিষেবা ছাড়াই হাজারো অসুবিধা নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে মথুরাপুর রেলস্টেশনের যাত্রীদের। পূর্ব রেলের শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার অন্যান্য স্টেশনের চেয়ে টিকিট কাটার হার তুলনামূলক বেশি থাকলেও, টিকিট কাউন্টারে খুচরো পয়সা নিয়ে ঝামেলা থেকে শুরু করে শৌচাগার ইত্যাদি নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

Advertisement

বিকেলের দিকে দেখা হল মথুরাপুরের বাসিন্দা অভিরূপ হালদারের সঙ্গে। তিনি একজন নিত্যযাত্রী। তাঁর অভিযোগ, “একটা সমস্যা হলে তো হত। সব থেকে বড় সমস্যা, যেখানে সেখানে হকার বসে গিয়েছে। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে অনেক সময় ট্রেন মিস হয়ে যায়।”

টিকিট কাউন্টার থেকে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে দেখা গেল, লেবুজল থেকে শুরু করে কবিরাজি ওষুধ, ইমিটেশন গয়না, ফোন বুথ, পানের দোকান, এমনকী সেলুন পর্যন্ত চলছে প্ল্যাটফর্মে। মাথার উপরে যেটুকু জায়গা জুড়ে শেড রয়েছে সেই চত্বরেই গিজগিজ করছে বেশির ভাগ স্টল। অপেক্ষাকৃত কম স্টল ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরে মেলে এক একটি গাড়ি। যাত্রীরা যে বসার জায়গায় অপেক্ষা করবেন, তার উপায় নেই। প্রতিটি বসার জায়গা দখল করে নিয়েছে হকারেরা। জানা গেল, তাদের কারও স্টল নম্বর নেই।

Advertisement

১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রায় ২০ বছর ব্যবসা করছেন মানিকচন্দ্র দে। সিটু অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গের হকার্স ইউনিয়নের মথুরাপুর শাখার সভাপতি তিনিই। তাঁর কথায়, “কেন স্টল নম্বর নেই তা ঠিক বলতে পারব না। মাঝে মধ্যে রেড হলে অনেককেই দোকান গুটিয়ে রাখতে হয়। দুপুরে কিছু ছেলে হামেশাই হুজ্জতি করে।” মানিকবাবু জানান, প্রায় দেড়শো হকার ব্যবসা করেন মথুরাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে।

স্টেশন ইন চার্জ শঙ্কর দত্ত কাজে বেরিয়েছিলেন। তাঁর দফতর সূত্রে জানা গেল, পূর্ব রেলের তরফে হকারদের স্টল বিলি করা হয় টেন্ডার করে। কিন্তু দর অনেক বেশি থাকে বলে হকাররা টেন্ডারে অংশ নেন না। তাই এ ভাবেই ইচ্ছে মতো গজিয়ে উঠেছে দোকান, স্টল। এ সব যাত্রীদের কাছে বেশ অসুবিধাজনক। প্ল্যাটফর্মের শেডের তলায় যা জায়গা রয়েছে, বৃষ্টি হলে সেখানে জল জমে যায়। তাই হকার-বাজারের মধ্যেই গাদাগাদি করে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। দ্বিতীয় বড় সমস্যা, শৌচাগার। এই ন্যূনতম পরিষেবা দিতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা বেশ বড় সমস্যা। পুরুষরা স্টেশন-লাগোয়া বাজারের শৌচাগার ব্যবহার করেন। সেটা খুব অপরিষ্কার এবং অপরিচ্ছন্ন।

টিকিট কাউন্টারে খুচরো পয়সা নিয়ে প্রায় প্রতি দিনই ঝামেলা বাধছে। এখান থেকে শিয়ালদার ভাড়া ১৫ টাকা। ‘সঠিক ভাড়া’র কোনও কাউন্টার না থাকলেও প্রতিটি যাত্রীর কাছ থেকে ৫ টাকার খুচরো আদায় করা হয় বলে জানালেন নিত্যযাত্রীরা। না দিতে পারলে টিকিট দেওয়া হয় না। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই কাউন্টারে ঝামেলা হয়। স্টেশন থেকে দশ পা দূরে রেল অনুমোদিত অসরকারি টিকিট কাউন্টার রয়েছে। যাতায়াতে ২ টাকা করে বেশি দিতে হয় বলে আমযাত্রীরা সেখানে বড় একটা যান না। স্টেশন চত্বরের বাইরে আর একটি সমস্যা হল সব্জি ও মাছের বাজার। রেলগেট থেকে স্টেশনের দিকে যতই এগোনো যাবে আনাজপাতি ও মাছের বাজারের ভিড়ে ততই আটকে পড়তে হবে। ফুটপাথে বিভিন্ন দোকান ছাড়াও ওই সরু গলিতে ক্রেতাদের ভিড়ে পদে পদে থমকাতে হয় রেলযাত্রীদের। ওই ঘিঞ্জি এলাকা দিয়ে ভ্যানরিকশাও এগোতে পারে না।

হাবরায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন। সাংসারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাবরা থানার খারো-বিল পাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম আশা মণ্ডল (৩০)। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর স্বামী দীপঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় ভ্যানচালক দীপঙ্করের সঙ্গে স্ত্রীর বিবাদ লেগেই থাকত। তাঁদের ২ মাসের একটি পুত্রসন্তান আছে। অভিযোগ, বুধবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় দীপঙ্কর স্ত্রীকে মারধর করে। প্রতিবেশীরা প্রথমে এসে তা থামিয়ে দিয়ে যায়। কিন্তু গভীর রাতে ফের স্ত্রীকে পেটায় দীপঙ্কর। পরে নিজেই স্ত্রীকে ভ্যানে চাপিয়ে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার আশাদেবীর মৃত্যু হয়। শিশুপুত্রকে আপাতত পুলিশকর্মীরাই দেখভাল করছেন। দুধও খাইয়েছেন। পরে তাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন