বাগানের ফাঁকা জমি ফেলে না রেখে সেখানে মশলা চাষের পরামর্শ দিলেন কৃষি-বিজ্ঞানীরা।
আম, লিচু, কলা, সুপারি, নারকেল, পেয়ারা, পেঁপে বাগানে ফাঁকা জমি পড়েই থাকে। সেই জমি ফেলে না রেখে সেখানে হলুদ, ধনে , কালোজিরে, গোলমরিচ, আদা-সহ বিভিন্ন মশলা চাষ করা যেতে পারে। বিশেষ করে হলুদ চাষ খুব লাভজনক। বাগানের ফাঁকা জায়গায় খুব সহজেই এই চাষ করা যায়। ভাল মানের হলুদের বিদেশেও চাহিদা রয়েছে। খাবারের পাশাপাশি ওষুধের ক্ষেত্রেও এর যথেষ্ট মূল্য রয়েছে। এছাড়াও ধনে, কালোজিরে, গোলমরিচ, আদা, লঙ্কার চাষ করা যেতে পারে। সম্প্রতি বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কল্যাণী লেক হলে দু’দিন ব্যাপী মশলা চাষ সংক্রান্ত আলোচনাচক্রে চাষিদের এমনই নানা পরামর্শ দিলেন কৃষিবিজ্ঞানীরা।
বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী সমীর কুমার সামন্তের কথায়, “ভাল জাতের চারা রোপণ করাটা সবচেয়ে জরুরি। চাষের পরিকল্পনা আগের থেকে করতে হবে। না হলে অনেক সময় ভাল চারা বা বীজ সংগ্রহ করা সমস্যা হয়। সেই সময় হাতের কাছে যা পান, তাই লাগিয়ে দেন চাষিরা। এমনটা করা ঠিক নয়। সেগুলো ঠিক মতো পরিচর্চা করতে হবে। ইচ্ছে থাকলে সবই সম্ভব। এখন মেদিনীপুরের সমতলেও আদার চাষ হচ্ছে।” আর এক কৃষি-বিজ্ঞানী মহাদেব প্রামাণিক বলেন, “বাগানের ফাঁকা জমিতে মশলার চাষ করলে কৃষকরা অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি কিছু-কিছু চাষ আছে, যা করতে পারলে মাটির উপকার হবে। রাজ্যে জৈব চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।”
মশলা চাষের এই দিশা পেয়ে খুশি সেমিনারে যোগদানকারী চাষিরাও। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরের বাসিন্দা স্বপন কুমার দাস বলেন, “প্রায় চল্লিশ বছর থেকে আমরা পেয়ারা চাষের সঙ্গে যুক্ত। বিঘা চারেক জমিতে পেয়ারা বাগান রয়েছে। সত্যিই অনেক ফাঁকা জমি পড়ে থাকে। সেখানে চাষ করার ভাবনা আগে মাথায় আসেনি। ভাগ্যিস সেমিনারে এসেছিলাম।”