এ ভাবেই পড়ে নিকাশির কাজ। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
সাইকেল নিয়ে কোনওক্রমে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। উল্টো দিক থেকে এক দল ছাত্রছাত্রী আসছে। পিছন থেকে হর্ন বাজাচ্ছে পুলিশের জিপ। কিন্তু সাইকেল আরোহী জায়গা দিতে পারছেন না। কারণ, রাস্তাটি খুবই সঙ্কীর্ণ। বেশ কিছু ক্ষণ চেষ্টার পরে সাইকেল আরোহীর পাশ দিয়ে জিপটি যেতে পারল। এই অবস্থা হাওড়ার নরসিংহ দত্ত রোডের উপরে কদমতলার বাটার মোড়ের।
হাওড়া শহরের নিকাশির সংস্কারের জন্য পাইপ বসানোর কাজ শুরু করেছিল হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা (এইচআইটি)। কিন্তু সাত বছর পরেও সেই কাজ শেষ হয়নি। যার জেরে হাওড়া কদমতলার বাটার মোড়ের এই অবস্থা। এইচআইটি সূত্রের খবর, দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে।
ব্যাঁটরা থানার খুব কাছেই এই মোড়। কিন্তু সেখানেও এমন অবস্থা থাকায় যথেষ্টই বিরক্ত সাধারণ মানুষ ও পুলিশ। এইচআইটি সূত্রের খবর, নিকাশির উন্নয়নে ২০০৭-এ বেলিলিয়াস মোড় থেকে যাদবব্যাঙ্ক পর্যন্ত পাইপ বসানোর কাজ শুরু হয়। জেএনএনইউআরএম-এর এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় বাবদ ধরা হয় চার কোটি টাকা। ২০১২-র মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। ২০ শতাংশ কাজ এখনও বাকি রয়েছে।
কী অবস্থা বাটার মোড়ের?
রাস্তা কিছুটা অংশ খুঁড়ে রাখা হয়েছে। রাস্তার প্রায় ৭০ শতাংশ ঘিরে রাখা হয়েছে। পড়ে রয়েছে বালি ও মাটি। গাড়ি গেলেই ধুলো ওড়ে। বর্ষার সময়ে কাদায় চলাই দায়। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, “কবে থেকে দেখছি কাজ চলছে। কিন্তু শেষ হওয়ার কোনও লক্ষণই দেখতে পাচ্ছি না। ব্যবসায় অসুবিধা হচ্ছে। দোকানে ক্রেতারা বেশি ক্ষণ দাঁড়াতে চান না। ধুলোর মধ্যে আমাদেরও দোকান চালাতে খুব অসুবিধা হয়।” রাস্তা সঙ্কীর্ণ হওয়ায় মাঝেমধ্যেই যানজট লেগে যায়।
এইচআইটি-র মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার মৃণ্ময় চট্টোপাধ্যায় বললেন, “কিছু টেকনিক্যাল কারণে কাজ বন্ধ ছিল। তবে এই সমস্যা মিটে গিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।”