শ্বশুর-শাশুড়িকে মারধর করে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে ‘জোর’ করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সুপ্রতীম আচার্য। সোমবার শ্যামনগরের বিবেকনগরের ঘটনা।
ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান সি সুধাকর বলেন, ‘‘বিয়ে যখন হয়েছে তখন স্বামীই আইনত অভিভাবক। কিন্তু এভাবে শ্বশুবাড়িতে চড়াও হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়াটা বেআইনি। অপহরণের অভিযোগ পেয়েছি। ওই যুবক পলাতক। তার খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ স্থানীয় সূ্ত্রের খবর,অশোকনগরের বাসিন্দা সুপ্রতীমের সঙ্গে বিবেকনগরের প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তীর প্রণয়ের সম্পর্ক অনেকদিনের। অশোকনগরে এক আত্মীয়ের বিয়েতে আলাপ হয় দু’জনের। ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২০১২ সালে একদিন গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে ফেরার সময় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়াঙ্কাকে তুলে নিয়ে যায় সুপ্রতীম। প্রিয়াঙ্কার বাবা অসিতবাবু পুলিশের কাছে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপ্রতীমকে গ্রেফতার করে। যদিও তারমধ্যেই চন্দননগরে একটি মন্দিরে গিয়ে দু’জনে বিয়ে সেরে ফেলে। শেষ পর্যন্ত বিয়ে মেনে প্রিয়াঙ্কার পরিবার।
অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুদিন নিরুত্তাপভাবে কাটলেও বেকার সুপ্রতীম টাকার জন্য প্রিয়াঙ্কার উপর মানসিক, শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। মেয়ের স্বার্থে অসিতবাবুরা দাবিমতো কিছু জিনিসপত্রও দেন। কিন্তু তারপরেও নির্যাতন বেড়ে চলায় প্রিয়াঙ্কাকে কিছুদিন আগে বাপের বাড়িতে নিয়ে আসেন অসিতবাবু। অভিযোগ, সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয় সুপ্রতীম। জোর করে টেনে হিঁচড়ে প্রিয়াঙ্কাকে গাড়িতে তোলে। অসিতবাবু ও তাঁর স্ত্রী শিপ্রদেবী বাধা দিলে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অসিতবাবু বলেন, ‘‘মেয়েটাকে ওরা মারতে মারতে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি থামাতে গেলে আমাকে মারধর করে ভোজালি দিয়ে আঘাত করে। স্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছিল।’’
ছিনতাইকারী ধৃত। শুধু ছিনতাই নয়, সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে নিগৃহীত করে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার বসিরহাট রবীন্দ্রভবনের সামনে ওই ঘটনায় এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিগৃহীত ওই ব্যক্তির নাম আবুল হোসেন। তিনি সোলাদানার হরিহরপুরের বাসিন্দা। সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ রবীন্দ্রভবনের সামনে তিন দুষ্কৃতী তাঁর কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাঁকে মারধরও করে।