হাসনাবাদে সেতুর টাকা নিয়ে সিপিএম নেতারা লুঠ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে হাসনাবাদে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন তিনি। রাজীববাবু বলেন, “গত চৌত্রিশ বছরে সুন্দরবনের মানুষের জন্য কোনও উন্নয়নের কাজই করেননি ওরা। তার জ্বলন্ত উদাহরণ, হল হাসনাবাদের সেতু। সুন্দরবনের অসংখ্য মানুষের স্বপ্ন সেই সেতুর টাকা নিয়েও সিপিএম নেতারা লুঠ চালিয়েছে। ফলে সেতু তৈরির জন্য যে দু’টো পিলার তৈরি হয়েছিল, তা-ও ভেঙে ফেলতে হচ্ছে।”
এ দিন হাসনাবাদের বাইলানি বাজার, চকপাটলি, পার হাসনাবাদে সভা করতে আসেন তিনি। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে রাজীববাবু বলেন, “জোটধর্ম পালন করলাম আমরা। অথচ কুকুর-বিড়ালের মতো দিল্লিতে হত্যে দিলেও একটি টাকাও কংগ্রেস সরকার নদী বাঁধের উন্নয়নের জন্য দেয়নি।” পাশাপাশি, সুন্দরবনের মানুষের জন্য তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে তিনি বলেন, “দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কিন্তু সুন্দরবনের মানুষের জন্যে দু’টাকা চাল, বিদ্যুৎ ও রাস্তা এমনকী নদীবাঁধ ও সেতুর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন।”
বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরে তৃণমূল নেত্রী মোদীকে তাঁর পিএম ফান্ড নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। এ দিন মোদী প্রসঙ্গে একই সুর শোনা গিয়েছে রাজীববাবুর বক্তৃতায়। তিনি বলেন, “ভোট হওয়ার আগেই উনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী করে চাঁদা তোলা শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এই রাজ্যে উন্নয়নের কথা না বলে সাম্প্রদায়িকতার উসকানি দিয়ে মানুষের মন পাওয়া শক্ত।” পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, “এক জন নিজেকে লৌহপুরুষ বলে ভাবেন। এতই যদি সাহস থাকত, তাহলে দু’টি কেন্দ্রে দাঁড়াতে গেলেন কেন? উনি কেবল চাইছেন, মানুষে মানুষে বিভেদ ঘটাতে।” এ দিনের শেষ বেলার প্রচারে শুক্রবার বসিরহাটে রাজীব ছাড়াও এসেছিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মদন মিত্র। আজ, শনিবার বসিরহাটে তৃণমূলের প্রচারে আসার কথা মিঠুন, জিৎ, শুভশ্রী, সোহমেরও।