হাড়গোড় মানুষেরই, রিপোর্ট ময়না-তদন্তে

আরামবাগের পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া খুলি, হাড়গোড় মানুষের বলেই মহকুমা হাসপাতালে করা ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেল। বৃহস্পতিবার মায়াপুর হাট-সংলগ্ন একটি পুকুর সংস্কারের সময়ে শ্রমিকেরা চটের বস্তার মধ্যে ওই দেহাবশেষ দেখতে পান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৫
Share:

আরামবাগের পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া খুলি, হাড়গোড় মানুষের বলেই মহকুমা হাসপাতালে করা ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মায়াপুর হাট-সংলগ্ন একটি পুকুর সংস্কারের সময়ে শ্রমিকেরা চটের বস্তার মধ্যে ওই দেহাবশেষ দেখতে পান। পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায়। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য দেহাবশেষ কলকাতাতেও পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার হাসপাতাল সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই হাড়গোড় বছর পঁয়ত্রিশের পুরুষের। যার মাথার ডান দিক ঘেঁষে গুলির ক্ষত আছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, অন্তত পাঁচ বছর আগে মৃত্যু ঘটেছিল ওই ব্যক্তির। শুক্রবার দুপুরে প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে চলে ময়না-তদন্তের প্রক্রিয়া। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বিশ্বজিৎ ঘোষ পরে বলেন, “গুলির ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল।” প্রাথমিক ভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর রুজু করেছে পুলিশ। এ দিন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের মর্গের সামনে পুলিশের ঘেরাটোপে ময়না-তদন্ত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে আরামবাগের হরিণখোলা ২ পঞ্চায়েত এলাকার মায়াপুর হাট-সংলগ্ন একটি পুকুর একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সংস্কারের সময়ে ওই হাড়গোড় উদ্ধার হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জান যায়, মায়াপুর গরুর হাট-সংলগ্ন এলাকাটি আলোহীন। লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে। এর আগে পুলিশ কয়েক বার সেখান থেকে দুষ্কৃতীদের ধরেছে।

Advertisement

স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মণিমোহন সিংহ বলেন, “এই পঞ্চায়েত এলাকা এবং আশপাশের এলাকার গ্রামগুলিতে কেউ নিখোঁজ আছেন কিনা খবর নিচ্ছি আমরা। এখন পর্যন্ত সে রকম কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। একই কথা জানিয়েছে পুলিশও। সিপিএমের তরফেও খোঁজ-খবর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আরামবাগ জোনাল কমিটির নেতা উত্তম সামন্ত। তিনি বলেন, “আমরা এখনও খবর পাইনি। তবে চাইছি, পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করুক।” তিনি আরও বলেন, “সালেপুর অঞ্চলের সিপিএম নেতা শঙ্কর সামুই ছাড়া গোটা মহকুমায় রাজনৈতিক পরিচয় আছে, এমন কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ নেই বলেই আমরা জানি। ২০০০ সালে তৃণমূল-বিজেপির আচমকা উত্থানের সময় থেকে নিখোঁজ হয়ে যান শঙ্করবাবু।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন