এ যেন উৎসের দিকে ফিরে চাওয়া।
আজ, বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ডিজিটাল আঙ্গিকে চর্যাগানকে মেলে ধরছে তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। বাংলা ভাষা-সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাগানের কয়েকটি এ বার শোনা যাবে স্মার্টফোনের অ্যাপে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘বাংলা ভাষার আদিরূপের একটা ডিজিটাল ভাঁড়ার তৈরি হল। বাংলা নিয়ে উৎসাহী দেশবিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারস্বত সমাজের কাছেও এই কাজটা জরুরি হয়ে উঠতে পারে।’’ আজ বিকেলে নিউ টাউনের রবীন্দ্রতীর্থে চর্যাগানের অ্যাপ ও সিডি প্রকাশের পরে তা স্কুলে বিলি করা হবে। বুধবার নজরুল রচনাবলিরও ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করার কথা।
তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের ভাষা প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ (সোসাইটি অব ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ)-এর উদ্যোগে তৈরি ওই অ্যাপে ঠাঁই পেয়েছে আটটি চর্যাগান। গানগুলির মূল রূপ ও সমকালীন বাংলা রূপান্তর আবৃত্তি করেছেন জগন্নাথ বসু ও ঊর্মিমালা বসু। মাহবুবুল হকের চর্যা-পাঠের ভিত্তিতে গানগুলিকে কথ্য বাংলার রূপ দিয়েছেন দীপ্ত দাশগুপ্ত। পরে সব ক’টি চর্যাগানকেই ডিজিটাল আঙ্গিকে ঠাঁই দেওয়া হতে পারে। তা রাখা হবে পরিষদের ওয়েবসাইটে।