বোর্ড গঠনে সতর্কতা দিলীপের

দিলীপ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের জয়ী সদস্যদের উপরে তৃণমূল চাপ সৃষ্টি করছে। তাই প্রতিটি মণ্ডলে আমাদের এক জন করে নেতাকে বোর্ড গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা কী ভাবে কাজ করব, তার রূপরেখা ঠিক করতেই এই বৈঠক।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০১:৫৫
Share:

বিজেপির জেলা সভাপতি তৃণমূল বিধায়কের তোলা হেনস্থার অভিযোগকে ‘সাজানো’ বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু, দলের রাজ্য সভাপতি জেলায় এসে সটান বললেন, ওই বিধায়ককে তাঁদের দলের লোকেরা ধাক্কাধাক্কি করে সরিয়ে দিয়েছিলেন। বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুরুলিয়ায় এসে বলেন, ‘‘এক জন চোরের সঙ্গে যে ভাবে ব্যবহার করা উচিত, সেটাই করা দরকার ছিল। এটা তো কম করেছেন আমাদের লোকেরা। ধাক্কাধাক্কি করে সরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর যদি সামান্য মান-সম্মান থাকে, তা হলে এ ধরনের কাজ আর করবেন না।’’

Advertisement

রবিবার দুপুরে রঘুনাথপুর ২ ব্লকের খাটরা গ্রামের অদূরে পাড়া কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক উমাপদ বাউরিকে বিজেপি কর্মীরা হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। বিধায়কের অভিযোগ, দলীয় কাজে যাওয়ার সময় তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এমনকী বিজেপি কর্মীরা তাঁকে প্রাণে মারারও চেষ্টা করে বলে তাঁর দাবি। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সে দিন বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেছিলেন, ও সব তৃণমূলের সাজানো নাটক। কিছু হয়নি।

এ দিন দিলীপের বক্তব্য শোনার পরে উমাপদ বলেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথাতেই পরিষ্কার, ওরা আমাকে সে দিন হেনস্থা করেছিল। যেটা তিনি বলেননি, মিথ্যা অভিযোগ তুলে সে দিন বিজেপির নেতা-কর্মীরা পরিকল্পনামাফিক আমাকে খুনের চেষ্টা করেছিল। পুলিশের কাছে সেটাই অভিযোগ করেছি।’’ ঘটনা হল, ওই ঘটনায় বিজেপির এক নেতা-সহ তিন জন গ্রেফতার হয়েছে।

Advertisement

যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ দিন এমনও দাবি করেছেন, ‘‘তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে কি না আমি জানি না। কিন্তু তিনি আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কিনতে গিয়েছেন গরু ছাগলের মতো। এটা এক জন বিধায়কের শোভা পায় না।’’ যা শুনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর কটাক্ষ, ‘‘এক জন বিধায়ককে কী ধরনের সম্মান জানানো উচিত তা দিলীপবাবুর জানা উচিত ছিল। তিনি নিজেও এক জন বিধায়ক। আসলে তিনি যে ভাষায় কথা বলেন, এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়।’’

পুরুলিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ দিন মণ্ডল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন মোর্চার জেলা সভাপতি ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। জেলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেন। দিলীপ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের জয়ী সদস্যদের উপরে তৃণমূল চাপ সৃষ্টি করছে। তাই প্রতিটি মণ্ডলে আমাদের এক জন করে নেতাকে বোর্ড গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা কী ভাবে কাজ করব, তার রূপরেখা ঠিক করতেই এই বৈঠক।’’

তাঁর অভিযোগ, এখানকার মানুষ বিজেপিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তা তৃণমূল হজম করতে পারছে না। তাই গণতান্ত্রিক ভাবে হেরে গিয়ে এখন শক্তি দিয়ে পুলিশ দিয়ে বিজেপিকে বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন