দিলীপ ঘোষ।ফাইল চিত্র।
৬৩টি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্য নিয়ে দড়ি টানাটানি মালদহে! ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোর ক্ষমতা পেতে মরিয়া শাসক ও বিরোধী উভয়েই। গত মঙ্গলবারই মালদহে ওই ত্রিশঙ্কু বোর্ডগুলো নিজেদের হাতে নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এরপর বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই ত্রিশঙ্কু বোর্ডে তৃণমূলকে রুখতে বিরোধীদের জোট বাঁধার আহ্বান জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মালদহের ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬৩টিই ত্রিশঙ্কু। জেলায় এ বার কংগ্রেস, বামেদের পিছনে ফেলে প্রথম সারিতে এসেছে তৃণমূল। ৩৮টি জেলা পরিষদের মধ্যে ২৯টিই তৃণমূলের। ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ন’টি এবং ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের ঝুলিতে ৫৮টি। তৃণমূলের পরেই রয়েছে বিজেপি। বিজেপি জেলা পরিষদে ছ’টি আসনে জয়ী হয়েছে। আর পঞ্চায়েত সমিতির দু’টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১টি একক ভাবে দখল করেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতি একটি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে চারটি কংগ্রেসের ঝুলিতে। আর বামেদের ঝুলিতে শূন্য। তবে ত্রিশঙ্কু ৬৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তিনটি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে মরিয়া সব দলই।
গত, ৫ জুন মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে সভা করেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু। ত্রিশঙ্কু বোর্ডগুলো একক ভাবে দখলের জন্য জেলা নেতাদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে জেলার সকল নেতার সম্মিলিত প্রয়াসে ত্রিশঙ্কু দ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ার বার্তা তিনি দিয়ে যান ওইদিনের সভায়। তাঁর সভার দু’দিনের মধ্যেই এদিন সেই কলেজ অডিটোরিয়ামেই সভা করে বিজেপি। সভায় দলের জয়ী প্রার্থীদের পাশাপাশি পরাজিত প্রার্থীদেরও অভিবাদন জানানো হয় বিজেপির তরফে। এদিনের সভায় ত্রিশঙ্কু বোর্ডগুলো গঠনের বার্তা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘ত্রিশঙ্কু বোর্ডগুলিতে তৃণমূল রুখতে বিরোধীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিরোধীদের বোঝাতে হবে, বিজেপি বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের যোগ্য মর্যাদা দেবে। কেউ দলে যোগ না দিলেও বোর্ড গঠনে পাশে থাকবেন। তবেই তৃণমূলকে রোখা যাবে।’’ এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘‘মালদহে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা নাকি তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। তাঁদের আমরা বলব, এ ঘাট ও ঘাট না করে একেবারে বিজেপিতে আসুন। কারণ বিজেপিই শুধু থাকবে রাজ্যে।’’