Dilip Ghosh

Dilip Ghosh: ভোটে বিপর্যয় কাদের জন্য, নাম ধরে ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, সপাট দিলীপ

দিলীপের দাবি, যোগদান মেলা কর্মসূচি অন্য দলের সমর্থকদের নেওয়ার জন্য হলেও পরে এমন অনেক নেতা আসেন যাঁদের সমাজে নেগেটিভ ইমেজ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ১২:৫১
Share:

দিলীপ ঘোষ।

তিনি রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন দল ১৮ সাংসদ পেয়েছিল বলে গর্বিত দিলীপ ঘোষ। আবার তাঁর আমলেই বিধায়ক সংখ্যা ৩ থেকে ৭৭ হওয়া নিয়েও গর্বের অন্ত নেই। কিন্তু বিজেপির তো ৭৭ পাওয়া নয়, লক্ষ্য ছিল দু’শোর বেশি আসন পাওয়া। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো গেল না কেন? এ বার তা নিয়েও মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। আনন্দবাজার অনলাইনের ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ ‘অ-জানাকথা’ অনুষ্ঠানে জানালেন, কাদের জন্য দলের ভরাডুবি তা তিনি নাম ধরে ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে দিলীপের দাবি, যোগদান মেলা কর্মসূচি অন্য দলের কর্মী, সমর্থকদের নেওয়ার জন্য হলেও পরে এমন অনেক নেতা চলে এসেছিলেন যাঁদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নেই। সেই ব্যক্তিদের প্রতি অপছন্দ বিজেপির গায়ে লেগে যাওয়াতেও অনেকের সমর্থন মেলেনি।

Advertisement

কাদের জন্য এমন খারাপ ফল হল তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কারও নাম না বললেও দিলীপ বলেন, ‘‘আমি নাম ধরে ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি কাদের জন্য ভরাডুবি হয়েছে। কী কী কারণে আমাদের ভুল হয়েছে সেটাও জানিয়েছি।’’ এর পাশাপাশি দলের ভুল সম্পর্কে দিলীপ বলেন, ‘‘কিছু ভুল ছিল তো বটেই। আমরা সর্বভারতীয় পার্টি। সেই হিসেবে কিছু পদ্ধতি নেওয়া হয়। অন্য রাজ্যে সেটা সফল হয়েছে। কিন্তু বাংলার জন্য আলাদা পদ্ধতি নেওয়া দরকার ছিল। আমারও মনে হয়েছে পরিকল্পনায় কিছু ত্রুটি ছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও তার কাছাকাছি যাওয়া উচিত ছিল।’’

বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হওয়া নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অনেকেই রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে দায়ী করেন। অনেক বলেন, তৃণমূল থেকে আসা মুকুল রায় বড় ক্ষতি করে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, ‘‘কারা কী করেছেন তা আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সব জানিয়েছি। নাম ধরে ধরে বলেছি। আমাদের কোথায় কোথায় ভুল ছিল সেটাও দলকে জানিয়েছি।’’

Advertisement

নির্বাচনের আগে বিজেপিতে দলে দলে নেতারা যোগ দিয়েছেন। যোগদান মেলা কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। সেটা কি ভুল পরিকল্পনা ছিল? দিলীপ বলেন, ‘‘যোগদান মেলা কর্মসূচি ছিল অন্য দলের সাধারণ কর্মীদের দলে নেওয়ার জন্য। সমর্থক তো নিতেই হবে, তা না হলে ভোট বাড়বে কী করে?’’ কিন্তু বড় বড় নেতাদের দলে নেওয়াটা কি ভুল হয়েছিল? দিলীপ বলেন, ‘‘কয়েক জন নেতা সম্পর্কে সমাজে বিরূপ ধারণা ছিল। তাঁদের নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। তাঁদের নেগেটিভ ইমেজ বিজেপির সঙ্গে লেপটে গিয়েছিল।’’ দিলীপ ঘোষ আটকাননি কেন? জবাবে বলেন, ‘‘আমাদের সর্বভারতীয় দল। যে কোনও সিদ্ধান্ত একটা টিম নেয়। সেটা সকলকে মেনে নিতে হয়।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন