১৮-য় ২, একটু কম মনে হচ্ছে: দিল্লিকে বলে এলেন দিলীপ

এক ধাক্কায় ২ থেকে বেড়ে ১৮। যে রকম চোখ ধাঁধানো উত্থান বিজেপির ঘটেছে বাংলায় এ বার, মন্ত্রিত্ব বণ্টনের সময়ে বাংলার প্রাপ্তির হিসেবটাও সে রকম চোখ ধাঁধানোই হবে— আশা ছিল রাজ্য বিজেপির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৯ ০০:২২
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

হতাশ হয়েছে বাংলা এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সে কথাটা শুনিয়ে দিয়ে এসেছেন তিনি। জানালেন দিলীপ ঘোষ। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার পরের দিনই কলকাতায় ফিরলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। মোদীর ঝুলিতে বাংলা ১৮টা আসন ভরে দেওয়া সত্ত্বেও বাংলার ভাগে মাত্র দু’জন প্রতিমন্ত্রী কেন? এই প্রশ্নের মুখে স্বাভাবিক কারণেই পড়তে হল দিলীপ ঘোষকে। সবে শুরু, প্রাপ্তির সময় ফুরিয়ে যায়নি— আশ্বাস দিলেন দিলীপ। তবে তার সঙ্গে এ-ও জানালেন যে, শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি জানিয়ে এসেছেন আশাভঙ্গের কথা।

Advertisement

এক ধাক্কায় ২ থেকে বেড়ে ১৮। যে রকম চোখ ধাঁধানো উত্থান বিজেপির ঘটেছে বাংলায় এ বার, মন্ত্রিত্ব বণ্টনের সময়ে বাংলার প্রাপ্তির হিসেবটাও সে রকম চোখ ধাঁধানোই হবে— আশা ছিল রাজ্য বিজেপির। আশা ছিল জনসাধারণের মধ্যেও। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ পর্ব শেষ হতেই দেখা গেল, গত বারের চেয়ে একটুও বাড়েনি পাওনাগন্ডা। গতবার বাংলা থেকে জিতেছিলেন বিজেপির দু’জন— বাবুল সুপ্রিয় ও সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। ধাপে ধাপে সেই দু’জনকেই মোদী প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন। এ বারও বাবুল সুপ্রিয়কে প্রতিমন্ত্রী করলেন। অহলুওয়ালিয়ার বদলে দেবশ্রী চৌধুরী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন। বাকি ১৬ সাংসদের মধ্যে আর কাউকে নিয়েই আপাতত কিছু ভাবা হল না।

শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আশা এখনও রয়েছে। হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’ কেন নেই হতাশ হওয়ার কারণ? দিলীপের ব্যাখ্যা, ২০১৪ সালে যে দিন নরেন্দ্র মোদী এবং মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছিল, সে দিন বাংলা থেকে একজনও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেননি। পরে মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সম্প্রসারণের সময়ে ধাপে ধাপে বাবুল ও অহলুওয়ালিয়াকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। এ বার তা হয়নি। প্রথম দিনেই বাংলা থেকে দু’জনকে মন্ত্রী করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: শিকড় অনেক গভীরে, তাই চমকে দেওয়া উত্থান দেবশ্রী চৌধুরীর

কিন্তু বাংলায় যে রকম উত্থান বিজেপির ঘটেছে, তাতে রাজ্য বিজেপির প্রাপ্তি কি শুধু এইটুকুই ছিল? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দিলীপ বুঝিয়ে দেন, তিনিও খুব সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, ‘‘গতবার ২-এ ২ ছিল। এ বার ১৮-এ ২। একটু কম মনে হচ্ছে। রামলালজিকে আমি সে কথা বলে এসেছি।’’

আরও পড়ুন: সম্বল সাইকেল, বাস কুঁড়েঘরে, মন্ত্রী হলেন সাধু হতে চাওয়া ‘ওড়িশার মোদী’

দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বাড়িতে বৃহস্পতিবার নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সেখানে অমিত শাহের সঙ্গে দিলীপদের দেখা হয় ঠিকই। কিন্তু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে খুব বেশি কথা বলার সুযোগ ছিল না। তাই অমিত শাহের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তাঁর কথা হয়নি বলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি এ দিন জানান। তবে সংগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্তা (সাধারণ সম্পাদক, সংগঠন) রামলালের সঙ্গে যে বিষয়টি নিয়ে তাঁর কথা হয়েছে, তা দিলীপ এ দিন জানিয়েছেন। বাংলার বিজেপির প্রতিনিধিত্ব মোদী মন্ত্রিসভায় আরও বাড়ার সম্ভাবনা যে শেষ হয়ে যায়নি, সে বিষয়েও আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন