দিলীপের ক্ষোভ, পাল্টা গৌতমের

রবিবার বিকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে দিলীপবাবু দাবি করেছেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। যদিও জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভার কোনও অনুমতিপত্র লিখিতভাবে বিজেপি দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সভা কোথায় হবে, তা এ দিন জানাননি দিলীপবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রের কাছে রাষ্ট্রপতি শাসনের বা ৩৫৬ ধারা জারির দাবি করা হতে পারে বলে মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তেমনই, অমিত শাহ থেকে যোগী আদিত্যনাথ পর্যন্ত দলের বিভিন্ন নেতাদের রাজ্যে আসতে যে ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা বাইরের রাজ্যে গেলে, তাঁদের সঙ্গে একই আচরণ করা হতে পারে বলে দিলীপবাবু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, দিলীপবাবু বরং আগে জেনে আসুন, ৩৫৬ ধারার প্রয়োগ কিভাবে হয়।

Advertisement

রবিবার বিকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে দিলীপবাবু দাবি করেছেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। যদিও জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভার কোনও অনুমতিপত্র লিখিতভাবে বিজেপি দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সভা কোথায় হবে, তা এ দিন জানাননি দিলীপবাবু।

বিজেপি সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারে প্রধানমন্ত্রীর সভা হবে বলে আপাতত দল ঠিক করেছে। সেখানকার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিগুলিতে সভা করার অনুমতিপত্র বিজেপি পেয়েছে। কিন্তু সভাস্থলের আশেপাশের এলাকার কিছু বাসিন্দা এবং চাষিদের খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। পুলিশ বিস্তারিত ভাবে সেই রিপোর্ট প্রশাসনিক স্তরে জানিয়ে দিয়েছে। সেগুলি জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।

Advertisement

তাই চূড়ান্ত ভাবে সভার অনুমতিপত্র মিলবে কি না, তা নিয়ে দলের একাংশের মধ্যেই অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলাশাসক শিল্পী গৌরসারিয়া কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

দিলীপবাবু জানিয়েছেন, আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় যোগীর সভা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন এখনও সভা ও হেলিকপ্টারের অনুমতি দেয়নি। তাঁর মতে, ‘‘সরকার ও দল এক হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল আমাদের ভয় পাচ্ছে বলেই এসব করা হচ্ছে।’’ তার পরেই দিলীপবাবুর হুঁশিয়ারি, ‘‘বিজেপি ১৬টি রাজ্যে রয়েছে। আমরা কাউকে কোথাও বাধা দিই না। কিন্তু এমন চলতে থাকলে আমাদেরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের লোকজনের ক্ষেত্রেই একই নমুনা নিতে হবে।’’

সিপিএমের ব্রিগেড নিয়েও কটাক্ষ করেছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেছেন, ‘‘সিপিএমের আর কিছু নেই তা বোঝা যাচ্ছে, তাই বুদ্ধবাবুর মতো অসুস্থ লোককে তুলে আনতে হচ্ছে।’’

এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব বলেন, ‘‘দিলীপবাবুর কথা জবাব দিতে সমস্যা হয়। ৩৫৬ ধারার কিভাবে প্রয়োগ হয় তা আগে ওঁর জেনে আসা উচিত। আর সরকার, প্রশাসন, পার্টি গোটা দেশে এক সঙ্গে মিলিয়ে তো বিজেপিই চালাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন