মেট্রোয় আলিঙ্গন নিয়ে মুখ খুললেন। বিতর্কও বাড়ালেন। —পিটিআই থেকে নেওয়া ফাইল চিত্র।
সযত্নে মন্তব্য এড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাজনীতিকরা। কলকাতা মেট্রোয় যুগলের আলিঙ্গন এবং তার জেরে গণপ্রহারের ঘটনায় বিতর্ক চলছে দেশজোড়া। কিন্তু কলকাতার তথা বাংলার রাজনীতিকরা মুখ খুলছিলেন না। রাজনীতির সেই নীরবতা ভাঙলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আলিঙ্গনকে ‘বেলেল্লাপনা’ আখ্যা দিলেন। ফলে ফের অন্য মাত্রা পেয়ে গেল বিতর্ক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ নদিয়ায় ছিলেন। রানাঘাটে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানেই মেট্রোয় আলিঙ্গন কাণ্ড নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন দিলীপবাবু এবং জবাবে বুঝিয়ে দেন, প্রকাশ্যে যুগলের আলিঙ্গনকে তিনি সমর্থন করছেন না।
দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘বেলেল্লাপনা করার জন্য অনেক জায়গা আছে, পার্ক আছে। অন্য জায়গায় যান, আপত্তি নেই। কিন্তু মেট্রোর মধ্যে এটা করাকে আমরা মানতে পারি না।’’ রাজ্য বিজেপির সভাপতির কথায়, ‘‘আমাদের সমাজের একটা পরম্পরা রয়েছে, সেটা ভুলে গেলে চলবে না।’’
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে আলিঙ্গন কি অপরাধ? কী বলছে আইন-আদালত
তবে দমদম মেট্রো স্টেশনে নামার পরে যুগলকে যে ভাবে গণপ্রহার দেওয়া হয়েছে, দিলীপ ঘোষ তাও সমর্থন করেননি। তিনি বলেন, ‘‘যা ঘটেছে, তার জন্য এ ভাবে শারীরিক নিগ্রহ করাও ঠিক হয়নি। শান্ত ভাবে প্রতিবাদ করা উচিত ছিল।’’
আরও পড়ুন: তুমিও ভেবে দেখ কলকাতা
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। প্রকাশ্যে আলিঙ্গন করাকে তিনি যে ভাবে ‘বেলেল্লাপনা’ আখ্যা দিয়েছেন, দিলীপবাবুর আগে কোনও রাজনীতিক তা করেননি।
তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ তো রোজই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এটা আবার নতুন কী? কোনও একটা দিনে যদি তিনি বিতর্কিত কিছু না বলেন, তা হলে সেটাই অস্বাভাবিক।’’