প্রতীকী ছবি।
ব্রিগেড সমাবেশের মুখে তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ আবার তুমুল ভাবে প্রকাশ্যে এসে গেল। দুই গোষ্ঠীর একটি হল তৃণমূল প্রভাবিত ফেডারেশন অব সেক্রেটারিয়েট এমপ্লয়িজ। অন্যটির নাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন।
বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে একটি সভায় সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেন সেক্রেটারিয়েট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব পাল। সেই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায় সরকারি কর্মী মহলে। সঞ্জীববাবু নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে কাজ করতেন। ঘটনার পরে পরেই তাঁকে পরিবহণ দফতরে বদলি করা হয়।
তার পরেই (৪ ডিসেম্বর) ফেডারেশনের কোর কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সঞ্জীববাবুকে। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের তিন আহ্বায়কের মধ্যে দু’জনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সঙ্গে ফেডারেশন অব সেক্রেটারিয়েট এমপ্লয়িজের কোনও সম্পর্কে নেই। তার পরেই বিরোধ প্রকট হয়ে ওঠে।
সঞ্জীববাবু শুক্রবার বলেন, ‘‘ফেডারেশনের তিন জন আহ্বায়ক। তাঁদের মধ্যে সই করেছেন দু’জন। ওঁরা ফেডারেশনের সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই বলার কে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি আমাদের সংগঠনের সঙ্গে ফেডারেশনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন? ওঁরা বললে মেনে নিতাম।’’ সঞ্জীববাবু জানান, তাঁরা আজ, শনিবার সকালে মিছিল নিয়ে মহাকরণ থেকে সোজা আকাশবাণীর সামনে দিয়ে ব্রিগেডে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লালবাজার মহাকরণের পিছন দিয়ে টি বোর্ডের সামনে থেকে রবীন্দ্র সরণি ধরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। সেটাই করা হবে।