শহরের পথ অন্ধকারে, প্রশ্নের মুখে পুরপ্রধান

শহরের সৌন্দর্যায়নের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়লেন বর্ধমানের পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত। শহরের রাস্তার পাশে জমে থাকা আবর্জনা, রাতে আলো না থাকা নিয়ে গুসকরার শিবদায় প্রশাসনিক বৈঠকে মঙ্গলবার উষ্মা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৮ ০২:১৪
Share:

সন্ধ্যায় বর্ধমানের জিটি রোড। ছবি: উদিত সিংহ

শহরের সৌন্দর্যায়নের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়লেন বর্ধমানের পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত। শহরের রাস্তার পাশে জমে থাকা আবর্জনা, রাতে আলো না থাকা নিয়ে গুসকরার শিবদায় প্রশাসনিক বৈঠকে মঙ্গলবার উষ্মা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী স্বরূপবাবুকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘সব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে? সুন্দর দেখাচ্ছে শহরটা? রাস্তায় আলো আছে?’’ স্বরূপবাবু বলেন, ‘‘আলোর একটু সমস্যা রয়েছে।’’ তখনই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন সমস্যা থাকবে? রাস্তায় আবর্জনা পড়ে থাকছে কেন? আপনি পুরপ্রধান, আপনাকেই তো দেখতে হবে। আমি যখন গাড়িতে যাই, চোখ খোলা রেখে যাই। আপনি গাড়িতে কি ঘুমিয়ে যান? ঘুমিয়ে গেলে তো কাজ শেষ হয়ে যাবে। পুরসভা চলবে কী করে?’’

এর আগেও এক প্রশানসিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বর্ধমানের পুরপ্রধান। তখন অভিযোগ ছিল, সরকারকে না জানিয়েই তিনি কৃষি খামারের কাছে পুরসভার আবর্জনা ফেলার জায়গা হস্তান্তর করতে চেয়েছেন। কী ভাবে তিনি এই কাজ করলেন, তা জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন কাজ হতে পারে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

শহরবাসী জানান, বর্ধমানের একটি বড় অংশের রাস্তা এখনও অন্ধকার থাকে। যে সব রাস্তা সংস্কার বা চওড়া হচ্ছে সেখানে সমস্যা বেশি। জিটি রোড, গোলাপবাগের রাস্তা সন্ধে নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে যায়। তার জেরে দুর্ঘটনা, চুরি-ছিনতাইও ঘটছে। কার্জন গেটও এক সময়ে অন্ধকারে পড়েছিল। সম্প্রতি আলো লাগিয়েছে পুরসভা। শহরবাসীর অভিযোগ, রাস্তাগুলিতে আলো দেওয়ার ব্যাপারে পুরসভা নিষ্ক্রিয়। শহরে যত্রতত্র আবর্জনাও পড়ে থাকে। ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

গোলাপবাগের সামনের রাস্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। স্বরূপবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যেমন বলেছেন সে ভাবেই কাজ করা হবে।’’

এ দিন জেলার অন্য পুরপ্রধানদের কাছেও এলাকার হাল-হকিকত জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। কালনার পুরপ্রধানের কাছে জানতে চান, গাছ লাগানো হচ্ছে কি না। টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে শুনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘টেন্ডারের কথা আর কত দিন শুনব!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন