প্রতীকী ছবি।
কেমোথেরাপির পরিবর্তে শুধু ওষুধ দিয়েই ক্যানসার রোগীকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখা যায় বলে শনিবার একটি আলোচনা চক্রে দাবি করলেন চিকিৎসকদের একাংশ। ক্যানসারের আধুনিক চিকিৎসা বিষয়ক ওই আলোচনার আয়োজন করেছিল ন্যাশনালিস্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।
আলোচনায় উপস্থিত ক্যানসার চিকিৎসক সোমনাথ সরকার জানান, মূলত ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কেমোথেরাপির বিকল্প হিসেবে ওষুধের ব্যবহার হয়ে উঠেছে প্রধান অস্ত্র। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তের রক্ত পরীক্ষা করে এখন বোঝা যাচ্ছে তাঁর শারীরিক অবস্থা। এই শারীরিক নমুনা পরীক্ষাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘লিক্যুই়ড বায়োপসি’ বলা হচ্ছে। সোমনাথবাবুর কথায়, ‘‘রোগীর শারীরিক অবস্থা দ্রুত চিহ্নিত করা গেলে কেমোর প্রয়োজন হবে না। তা ছাড়া, কেমোয় নানা রকম পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয়। তাই ওষুধের ব্যবহার অনেক ভাল।’’
অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক চিকিৎসক সুভাষ সরকার বলেন, ‘‘প্রতিটি হাসপাতালে বিভাগীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো দরকার। কারণ, অনেক সময়ে ক্যানসারের মতো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একাধিক বিভাগের চিকিৎসকদের যৌথ ভাবে কাজ করতে হয়। তাই সমন্বয় না থাকলে চিকিৎসার মান বজায় থাকে না। রোগীর হেনস্থা বাড়ে।’’
আলোচনায় উঠে আসে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিলের প্রসঙ্গ। বক্তাদের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত ওই বিল নিয়ে এ রাজ্যের চিকিৎসকদের অনেকে সমালোচনা করতে ব্যস্ত। কিন্তু রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি নিয়ে তাঁরা কতটা সরব, সেই প্রশ্নও থাকছে।