তিন ধরনের মশাবাহী রোগ দুশ্চিন্তার কারণ। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, জাপানি এনসেফ্যালাইটিস।
• ম্যালেরিয়ার মশা অ্যানোফিলিস জমা জলে, বিশেষ করে পরিস্রুত ধীরে প্রবহমান জলে জন্মায়।
• ডেঙ্গির মশা ইডিস ইজিপ্টাই ডিম পাড়ে পরিষ্কার জমা জলে।
• জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের মশা কিউলেক্স বিশনোই জন্মায় ধানখেত ও লাগোয়া কাদা জলে।
মশা থেকে বাঁচাতে শিশুকে মশারির মধ্যে রাখা জরুরি। বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর সময় ফুলহাতা জামা, ফুল প্যান্ট প়রান। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি এবং জাপানি এনসেফ্যালাইটিস— রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হল জ্বর। ম্যালেরিয়ার জ্বরে কাঁপুনি দেয়। তবে শিশুর ক্ষেত্রে প্রথম তিন-চার দিন কাঁপুনি না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় কঠিন। জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে থাকে খিঁচুনি, বমি। ডেঙ্গির সঙ্গী হাত-পা-মাথায় তীব্র যন্ত্রণা। মনে হয় হাড় ভেঙে যাচ্ছে। শিশুর জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রক্ত পরীক্ষা করান। জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের টিকা নেওয়াও জরুরি। বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, দিনাজপুর, দুই ২৪ পরগনার মতো এই রোগপ্রবণ কোনও জেলায় যাওয়ার আগে এই টিকা নিলে ভাল হয়।