Ganges river dolphin

দামোদরে ইলিশ ধরতে গিয়ে ‘ডলফিন’ উঠে এল জালে! পূর্ব বর্ধমানে হুলস্থুল, কী করলেন মৎস্যজীবীরা?

বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের সাদিপুরে এই ঘটনায় হুলস্থুল কাণ্ড বাধল। সাদিপুরেরই বাসিন্দা পেশায় জেলে প্রশান্ত পাকড়ের জালে ডলফিনটি আটকা পড়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১৮:০২
Share:

ইলিশ এসেছে শুনেই ভরা দামোদরে জাল ফেলেছিলেন মৎস্যজীবীরা। সেই জালেই উঠে এল ডলফিন!

Advertisement

বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের সাদিপুরে এই ঘটনায় হুলস্থুল কাণ্ড বাধল। সাদিপুরেরই বাসিন্দা পেশায় জেলে প্রশান্ত পাকড়ের জালে ডলফিনটি আটকা পড়ে। প্রশান্ত জানান, প্রতি দিনের মতো বুধবার রাতে দামোদরে ফাঁস জাল ফেলেছিলেন তিনি। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে সেই জাল টানতে গিয়ে তাঁর মনে হয়েছিল, হয়তো বড় কোনও মাছ আটকেছে! খানিক পরেই প্রশান্তের নজরে আসে ডলফিনটি। তিনি বলেন, ‘‘ডলফিনটির ওজন ৫০-৫৫ কেজি। পরে জাল কেটে ডলফিনটাকে আবার মাঝনদীতে ছেড়ে দিয়েছি আমরা।’’

এগুলি আসলে গাঙ্গেয় ডলফিন। স্থানীয় ভাষায় এদের শুশুকও বলে। শুশুক বিশেষজ্ঞ কাটোয়ার বাসিন্দা গণেশ চৌধুরী বলেন, ‘‘এদের প্রধান খাবার মাছ। গঙ্গায় মাছ কমে যাওয়ায় এরা মাছের খোঁজে বিভিন্ন খাঁড়ি বা নদীতে ঢুকে পড়ে। কাটোয়ায় অজয়, ভাগীরথী নদীতে ৪৫ থেকে ৪৮টা শুশুক আছে। মার্চ থেকে অগস্ট পর্যন্ত এদের বাচ্চা হয়। ২০০৪ সালে আমাদের রাজ্যে শুশুকের সংখ্যা ছিল প্রায় চার হাজার। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যে শুশুকের সংখ্যা ৭০০-র মতো।’’

Advertisement

প্রায় বছর ২০ পর ২০২৪ সালে জামালপুরে দামোদরে নদে ইলিশ ধরা পড়েছিল। এক কেজি ওজনের ওই রুপোলি শস্য বিক্রির জন্য নিলাম ডেকেছিলেন মৎস্যজীবীরা। সে বারের মতো এ বারও ভারী বৃষ্টিতে ভরে গিয়েছে দামোদর। তাই মূলত ইলিশের খোঁজেই জাল ফেলেছিলেন মৎস্যজীবীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement