মদন মিত্র। —ফাইল চিত্র।
বারাসতের বিশেষ আদালতে মদন মিত্রের আইনজীবীর আবেদন শোনামাত্র সিবিআইয়ের আইনজীবী যেন লাফিয়ে উঠলেন! তার পরেই বিচারকের উদ্দেশে তাঁর আবেদন: ‘‘না, হুজুর না! কিছুতেই মদনবাবুকে বিদেশ যেতে দেবেন না। নীরব মোদী, ললিত মোদী, বিজয় মাল্যদের দেখছেন! এরা এক বার বিদেশে চলে গেলে আর ফেরে না।’’
বৃহস্পতিবার বিচারক সোমনাথ চক্রবর্তীর এজলাসে হাজিরা ছিল সারদা মামলার অভিযুক্তদের। মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন থেকে দেবযানী মুখোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, রজত মজুমদার— সকলেই হাজির। সর্দি হওয়ায় প্রাক্তন মন্ত্রী মদনবাবু অবশ্য তখন শাল জড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রোদে। তাঁর আইনজীবী তখনই গিয়ে ‘মদনদা’-কে দুঃসংবাদটা দিলেন।
মদনবাবু বিদেশে যেতে চান কেন? তাঁর আইনজীবী জানান, মদনবাবু ভবানীপুরের একটি অভিজাত ক্লাবের সভাপতি। সেই সুবাদেই সাগরপারের একটি দুর্গাপুজো কমিটির নিমন্ত্রণে অক্টোবরে তাঁর বিদেশ যাওয়া দরকার! তাতেই আপত্তি তুলেছে সিবিআই। তাদের আইনজীবী চন্দনকুমার সিংহ সরাসরি ললিত ও নীরব মোদী, বিজয় মাল্যদের সঙ্গে মদনবাবুর তুলনা টানায় এজলাসে অন্য অভিযুক্তদের ঠোঁটে চাপা হাসি। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলে চলেছেন, ‘‘না হুজুর, কাজটা ঠিক হবে না। এ-সব অভিযুক্তকে ফিরিয়ে আনতে ভুগতে হয় সিবিআই-কে। বিরোধীরা চেপে ধরেন সরকারকে।’’ সিবিআইয়ের আপত্তি শুনে কিছু ক্ষণ আইনজীবীর মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সারদা মামলার অন্য এক অভিযুক্ত তখন বেশ জোরেই বলছেন, ‘‘যা-তা হল কিন্তু!’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দু’পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারক এ দিন মদনবাবুর আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি ২৬ মার্চ নির্দেশ দেব।’’