অমিত মিত্র। ফাইল চিত্র।
কুলপিতে বেসরকারি বন্দর নির্মাণের জন্য দুবাইয়ের সংস্থা ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড’-কে বেছে নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে রাজ্যের শিল্প এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, ওই বন্দরে ৩০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। ওই বন্দরে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের ১১ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।
অমিতবাবুর দাবি, বামফ্রন্ট আমলে কুলপিতে বন্দর নির্মাণের সঙ্গে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড’ তাতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। পরবর্তীকালে তারা উৎসাহ হারায়। এ বছরের বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনে তারা ফের বন্দর নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করে। রাজ্য আইন, অর্থ, ভূমি-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির মতামত নেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড’-কে কুলপিতে বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে তারা ‘এসইজেড’ তকমা পাবে না বলে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, কুলপি বন্দর নির্মাণে এক ছটাক জমিও অধিগ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন অমিতবাবু। তবে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে বলে ওই পরিকাঠামোতে কতগুলি বার্থ হবে, এ দিন তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, কুলপি বন্দরের জন্য যে পরিমাণ জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ দু’টি বার্থ নির্মাণ করা সম্ভব। এখন বন্দরের নাব্যতা সাড়ে ৭ মিটার রয়েছে। ড্রেজিং ভাল হলে তা ৮ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। তাদের আরও বক্তব্য, কলকাতা বন্দরে নেতাজি সুভাষ ডক, কলকাতা বন্দর এবং বজবজ মিলিয়ে ৩৯টি বার্থ রয়েছে। তাতে কাজ করেন ২৫০০ শ্রমিক ও অফিসার। কর্মীসংখ্যা এক হাজারে নামিয়ে এনে স্বয়ংক্রিয় প্রথায় পণ্য খালাস বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।