এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দুর্গাপুরকাণ্ডের ‘নির্যাতিতা’ ডাক্তারি ছাত্রীকে বাংলা থেকে ওড়িশায় নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁর বাবা। এ ব্যাপারে তিনি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝীকে অনুরোধও করেছেন বলে জানালেন। ‘নির্যাতিতা’র বাবা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি, যাতে মেয়েকে এখান থেকে ওড়িশায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই জায়গার উপর থেকে ভরসা উঠে গিয়েছে। ওকে (মেয়েকে) মেরেও ফেলতে পারে।’’
শুক্রবার রাতে এক সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে নির্যাতনের শিকার হন দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ওই ডাক্তারি ছাত্রী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তাঁর বাবা। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে এখনও হাঁটতে পারছে না। বেডরেস্টে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি, এসপি এবং জেলাশাসক আমাদের অনেক সাহায্য করছেন। বারবার মেয়ের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি, যাতে মেয়েকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’’
দুর্গাপুর ‘ধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতা’ যাতে দ্রুত বিচার পান, তা নিশ্চিত করতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুক্রবারই অনুরোধ করেছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। ‘নির্যাতিতা’র বাবা জানান, তাঁর সঙ্গেও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি সব রকর ভাবে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন। ‘নির্যাতিতা’র বাবা বলেন, ‘‘রাত ১০টায় ওর বন্ধু (মেয়ের বন্ধু) ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর একটা বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল বাইরে। কিন্তু যখন দু’-তিন জন ওকে (মেয়েকে) ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায় ওকে ছেড়ে। রাত ৮-৯টার মধ্যে ঘটনাটা ঘটেছে। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কোনও ব্যবস্থাই নেই এখানে।’’