দেরি মেনেও দায় নিল না পূর্ব রেল

লোকাল হোক বা দূরপাল্লার মেল-এক্সপ্রেস, দেরির ব্যাধি সারছে না রেলের। সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ ছাড়াও এ বার তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন বহু পরীক্ষার্থী। রবিবার ট্রেন দেরিতে পৌঁছনোয় তাঁরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে পারেননি বলে অভিযোগ বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:৩৪
Share:

লোকাল হোক বা দূরপাল্লার মেল-এক্সপ্রেস, দেরির ব্যাধি সারছে না রেলের। সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ ছাড়াও এ বার তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন বহু পরীক্ষার্থী। রবিবার ট্রেন দেরিতে পৌঁছনোয় তাঁরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে পারেননি বলে অভিযোগ বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর।

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের এ দিন এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগ্‌জামিনেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা বলেন, ‘‘কোনও পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেই এই ধরনের রিপোর্ট আসেনি।’’ ফলে যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারলেন না, তাঁদের শেষ পর্যন্ত কী দশা হবে, সেই বিষয়ে কোনও দিশা দেখাতে পারেনি বোর্ড।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য এ দিন রাজ্যে মোট ২৪০ কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হয়। এ ছাড়া পরীক্ষা হয়েছে অসমে একটি এবং ত্রিপুরায় চারটি কেন্দ্রে। কলকাতার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা বিহারের প্রার্থীদের। পূর্ব রেলের খবর, এ দিন মিথিলা এক্সপ্রেসের হাওড়ায় ঢোকার সময় ছিল ভোর সাড়ে ৪টেয়। কিন্তু ট্রেনটি পৌঁছয় সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। ট্রেন প্রায় ছ’ঘণ্টা দেরিতে চলায় ভুগতে হয় বিহার থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা শুরু হয়ে যায় বেলা ১১টায়। ট্রেন দেরিতে পৌঁছনোয় বিহার থেকে আসা প্রার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে না-পারায় অসহায় হয়ে পড়েন।

Advertisement

ট্রেনের দেরির বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও তার দায় নিতে অস্বীকার করে পূর্ব রেল। ওই সংস্থার এক কর্তা জানান, ট্রেনটি মিথিলা থেকে ছাড়ে। সেটা পূর্ব রেলের আওতায় পড়ে না। বেশ কয়েকটি পার হয়ে আসানসোল থেকে সেটি আসে পূর্ব রেলের আওতায়। ফলে অন্য জোনে থাকাকালীন ট্রেনটি দেরি করেছে কি না, সেটা তদন্ত করে দেখা হবে। পূর্ব রেলের মুখপাত্র রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষতি হয়ে গেল। কেন মিথিলা এক্সপ্রেসের পৌঁছতে দেরি হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

তবে এ বারের জয়েন্টে কোথাও নকল করার কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দুবাবু। সাধারণ পরিদর্শক ছাড়াও এ দিন রেডিও অ্যাকটিভ ডিটেক্টর নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘুরেছেন ৬১ জন ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক। জয়েন্টে ভুয়ো প্রার্থী নিয়ে বরাবরই বিড়ম্বনায় পড়তে হতো বোর্ড-কর্তাদের। তাই গত বছর থেকে আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা চালু করে কর্তৃপক্ষ। এ বছর বিড়ম্বনায় পড়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি বোর্ডের। এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লক্ষ ১৭ হাজার ৫৪৪।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন