Election Commission

নজরে বিধানসভা ভোট! প্রায় ছ’মাস আগে শুরু হয়ে গেল প্রথম পর্যায়ের ইভিএম পরীক্ষার প্রস্তুতি, চলবে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত

কমিশন সূত্রে খবর, ভোটারদের সুবিধার জন্য ইভিএমের ব্যালট পেপারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কমিশনের একটি সূত্র বলছে, রাজ্যে ইভিএমে প্রার্থীর ছবি এ বার থেকে রঙিন হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ২১:০৫
Share:

ইভিএম পরীক্ষা নিয়ে প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেল রাজ্যে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার ইভিএম নিয়ে নির্বাচনী আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের ছ’মাস আগে প্রথম পর্যায়ের ইভিএম পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশিক্ষণ শেষ করা হল। আগামী জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ের ইভিএম পরীক্ষার কাজ শুরু হবে। তখন এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলিকে ডাকা হবে বলে খবর।

Advertisement

শুক্রবার রাজারহাটে নির্বাচনী আধিকারিকদের ইভিএম পরীক্ষা নিয়ে ওই প্রশিক্ষণ দেয় কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ওই প্রশিক্ষণ দেয়। দিল্লি থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদল সেখানে উপস্থিত ছিল। প্রশিক্ষণে নির্বাচনের কাজে যুক্ত ২৪টি জেলার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলা ইভিএম নোডাল আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল। ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ইভিএম পরীক্ষার প্রক্রিয়া। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজ্য জুড়ে ৫২টি জায়গায় এই পরীক্ষা করাবে কমিশন।

কমিশন সূত্রে খবর, ভোটারদের সুবিধার জন্য ইভিএমের ব্যালট পেপারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কমিশনের একটি সূত্র বলছে, রাজ্যে ইভিএমে প্রার্থীর ছবি এ বার থেকে রঙিন হবে। আগে সাদা-কালো ছবি থাকত। ছবিতে প্রার্থীর মুখ বেশি জায়গা জুড়ে থাকবে, যাতে সহজে চেনা যায়। ক্রমিক নম্বর আরও বড় এবং স্পষ্ট ভাবে লেখা থাকবে। প্রত্যেক প্রার্থী বা ‘নোটা’র নম্বর বড় হরফে এবং মোটা অক্ষরে লেখা থাকবে, যাতে ভোটারেরা সহজে দেখতে পান। সব প্রার্থীর নাম একই ধরনের অক্ষরে লেখা হবে, একই ফন্ট, একই আকারে নাম ছাপানো হবে। কারও নাম ছোট, কারও বড়, এমন হবে না। ব্যালট কাগজের মান উন্নত হবে। ছাপানো হবে ভাল মানের (৭০ জিএসএম) কাগজে। আর বিধানসভা নির্বাচনে গোলাপি রঙের কাগজ ব্যবহার করা হবে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও এই ব্যালট পেপারেই ভোটগ্রহণ হয়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে, বিএলও-দের কাজ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের সিইও মনোজ বলেন, ‘‘এখানে এক লক্ষ বিএলও কাজ করছেন। দু’চার জন হতে পারে ঠিক মতো কাজ করছেন না। ৯৯ শতাংশ বিএলও কঠোর ভাবে কাজ করছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করছেন। গোটা এসআইআর এর উপরেই রয়েছে। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও কোনও অসুবিধা হলে সেটা আমরা দেখে নিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement