Coal Smuggling

কয়লা পাচারের মামলায় কলকাতা পুলিশের এক কর্তাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

কয়লা পাচারের মামলায় কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শান্তনু সিংহ বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি-র দিল্লি সদর দফতরে হাজির হন শান্তনু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি, কলকাতা ও সিউড়ি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৭:০০
Share:

কয়লা পাচারের মামলায় কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির। ফাইল চিত্র।

গরু পাচারের মামলায় দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। তারই মধ্যে কয়লা পাচারের মামলায় কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শান্তনু সিংহ বিশ্বাসকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি-র দিল্লি সদর দফতরে হাজির হন শান্তনু। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি-র সদর দফতরে কিছু অফিসার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য, মলয় পিটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ওই সদর দফতরেই অন্য ঘরে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এই অফিসারকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে তৃণমূল শিবিরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

কে এই শান্তনু সিংহ বিশ্বাস?

শান্তনু ‘কালীঘাটের অনুগত ও বিশ্বাসভাজন’ বলে পুলিশ মহলের খবর। তিনি পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতিও। ইডি সূত্রের দাবি, কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা এবং অন্যতম অভিযুক্ত শাসক দলের পলাতক নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশের বয়ানের ভিত্তিতে শান্তনুকে তলব করা হয়েছে। বিনয় ও বিকাশের বাড়ি কালীঘাট থানা এলাকায় ধর্মদাস রো-তে। শান্তনু বেশ কয়েক বছর কালীঘাট থানার ওসির পদে ছিলেন। পরে তার পদোন্নতি হয়। ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে যোগ দেন শান্তনু।

Advertisement

শান্তনুকে এর আগে দু’দফায় নোটিস জারি করে তলব করা হয় বলে ইডি সূত্রের খবর। চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছিলেন শান্তনু। তৃতীয় দফায় আগামী শুক্রবার হাজির হওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়। না হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়। ইডি সূত্রের দাবি, এর পরেই মঙ্গলবার ফোন করে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন শান্তনু। কয়লা পাচারের লভ্যাংশের একটা মোটা অংশ‌ লালা, বিনয় ও বিকাশের থেকে বিভিন্ন পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেছিল বলে ইডি-র সন্দেহ। শান্তনুর গত ১০ বছরের আয়কর রিটার্ন ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি তলব করা হয়েছে।

অন্য দিকে গরু পাচার মামলায় গত সপ্তাহ থেকে আজ পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পরে আজ অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ চালকল মালিক রাজীব ভট্টাচার্যকে ইডি-র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত আর আসতে হবে না। তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ বলেন, “আমার মক্কেল তদন্তে প্রথম থেকেই সহযোগিতা করছেন। ভবিষ্যতেও করবেন।” অনুব্রতের গরু পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে আজ তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী মলয় পিটকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন