ইডি-র দফতরে সীমা সিংহ। বৃহস্পতিবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
কিছু দিন আগে ডাক পড়েছিল। ডাক পেয়ে তিনি গিয়েওছিলেন। ফের তলব পেয়ে বৃহস্পতিবার সল্টলেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর অফিসে হাজির হলেন রোজ ভ্যালি সংস্থার অন্যতম কর্তা সীমা সিংহ। রোজ ভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সীমাদেবীর বয়ান নথিভুক্ত করিয়ে ঘণ্টা আড়াই বাদে তাঁকে ছেড়ে দেন তদন্তকারীরা। অন্য দিকে কথা থাকলেও গৌতমবাবুকে এ দিন কলকাতার আদালতে তোলা যায়নি। কারণ, তাঁর অসুস্থতা।
ইডি-সূত্রের দাবি: রোজ ভ্যালি বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে, এখনও যার হিসেব মেলেনি। এ দিকে রোজ ভ্যালি-কাণ্ডে গৌতম কুণ্ডু ধরা পড়া ইস্তক কোম্পানিতে সীমার গুরুত্ব বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা একাধিক প্রশ্ন রেখেছেন সীমার সামনে।
এরই জেরেই তাঁকে ফের তলব। এ দিন সকাল সওয়া দশটা নাগাদ ইডি অফিসে যান সীমা। তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ইডি অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি অবশ্য সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি।
আবার এ দিনই গৌতমবাবুকে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি। তাঁর কৌঁসুলি আবেদন করেন, রোজ ভ্যালির যে সব অফিস ইডি বন্ধ করেছে, সেগুলো খুলে দেওয়া হোক। তা হলে আমানতকারীদের টাকা ফেরত
দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ওঁর বক্তব্য, রোজ ভ্যালির যে হাজার তিনেক অ্যাকাউন্ট ইডি সিল করে দিয়েছে, তাতে প্রায় চারশো কোটি টাকা ছিল। ‘‘কোর্ট জানতে চাক, ইডি সেই টাকা নিয়ে কী করল।’’— আর্জি গৌতমের কৌঁসুলির। নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক আবেদন দু’টি গ্রহণ করলেও কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি।
এ দিকে ইডি যখন ভ্যালি নিয়ে নতুন ভাবে নাড়া-চাড়া শুরু করেছে, তখন সিবিআই ব্যস্ত সারদার তদন্তে। ব্যুরোর খবর: সারদার মিডিয়া সম্পর্কে খোঁজ চালাতে গিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র সামনে এসেছে। পাশাপাশি তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডার জমা দেওয়া নথির সূত্র ধরেও সারদা কেলেঙ্কারিতে বেশ কয়েক জন ‘প্রভাবশালী’র ভূমিকার কথা জানা গিয়েছে।