হাওড়ার ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা ইডির। —নিজস্ব চিত্র।
রেশন মামলায় আবার তৎপর ইডি। বুধবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। হাওড়ার অন্তত তিন জায়গায় হানা দিয়েছেন তাঁরা। নজরে ব্যবসায়ীদের বাড়ি এবং গুদামও।
বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাধিক দল বেরিয়েছে ইডি দফতর থেকে। সকাল সকালই তাদের একটি দল পৌঁছে যায় হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ সন্তোষপুরে কৃষ্ণপদ মাল নামে এক ধান ব্যবসায়ীর বাড়িতে। অন্য একটি দল হানা দিয়েছে তাঁর গুদামেও। এ ছাড়াও, হাওড়ার একটি সমবায় সমিতিতেও চলছে ইডির অভিযান।
অন্য দিকে, হাওড়ার শ্যামপুরের সসাটিতে ব্যবসায়ী পার্থেন্দু জানার বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, কৃষকদের থেকে ধান কিনে বিভিন্ন রাইস মিলে বিক্রি করতেন পার্থেন্দু। ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত তিনি। ওই ব্যবসায়ী অবশ্য বাড়িতে নেই। পরিবার জানায়, মহাকুম্ভে গিয়েছেন পার্থেন্দু।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর ইডি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রেশন মামলায় গ্রেফতার করে। তিনি প্রায় ১৪ মাস জেল হেফাজতে ছিলেন। ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি বিশেষ ইডি আদালত ৫০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং ২৫ হাজার টাকার দু’টি জামিন বন্ডে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তার কয়েক দিন যেতে না যেতেই আবার রেশন মামলায় তৎপর হল ইডি।
রেশন মামলায় অতীতেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। গত ২৩ অক্টোবর কলকাতার বাঙুরের ব্যবসায়ীর মহেন্দ্র আগরওয়ালের বাড়িতে হানা দেয় তারা। বাঙুর ছাড়াও হাওড়ার পাঁচলার এক রেশন ডিলারের বাড়ি, উলুবেরিয়া শহরের উত্তর জগদীশপুরে রেশন ডিলার বটকৃষ্ণ ঘোষের একাধিক গোডাউনে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, জগৎবল্লভপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির অফিসেও যান ইডি আধিকারিকেরা। বুধবার আবার সেই সমিতির অফিসে গেলেন তাঁরা।