Jyotipriya Mallick

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বালুর হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহ করবে ইডি, সোমেই বিচার ভবনে হাজিরা দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী

গত মাসেই রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়ের হস্তাক্ষর পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয় কন্যাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন বলে ইডি সূত্রে দাবি। সেই চিঠি নিরাপত্তারক্ষী মারফত ইডি-র হাতে পৌঁছোয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১৭:০৪
Share:

প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — ফাইল চিত্র।

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে এসএসকেএম থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠির হস্তাক্ষরের সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর হস্তাক্ষর মিলিয়ে দেখবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল সূত্রে খবর, গত বছর উদ্ধার হওয়া ওই চিঠি বালুই লিখেছিলেন কি না, তা যাচাইয়ের জন্য সোমবারই প্রাক্তন মন্ত্রীর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করা হতে পারে।

Advertisement

হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়ার জন্য সোমবার দুপুরে বিচার ভবনে গিয়েছেন জ‍্যোতিপ্রিয়। সেখানে ১৯ নম্বর মেট্রোপলিটন ম‍্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হাজির করানো হয়েছে তাঁকে। রয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরাও। সোমবারই জ্যোতিপ্রিয়ের হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হতে পারে।

গত মাসেই রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়ের হস্তাক্ষর পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয় কন্যাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন বলে ইডি সূত্রে দাবি। সেই চিঠি নিরাপত্তারক্ষী মারফত ইডি-র হাতে পৌঁছোয়। ইডির দাবি, টাকার লেনদেন প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে চিঠিতে জানিয়েছিলেন বালু। চিঠিতে একই মামলায় ধৃত বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ‘ডাকু’র নামও ছিল বলে জানা গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর আগেও সেই চিঠির সঙ্গে মেলাতে বালুর হস্তাক্ষর পরীক্ষা করতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ বার শুরু হল সেই প্রক্রিয়া।

Advertisement

২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময়ে জ্যোতিপ্রিয় তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর হাতে ওই চিঠিটি দেন বলে দাবি। হাসপাতালে পাহারারত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মাধ্যমে চিঠি চালাচালির কথা জানতে পারে ইডি। সিআরপিএফের কর্মীরাই ওই চিঠি বাজেয়াপ্ত করে ইডির হাতে তুলে দেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, হাসপাতালে কী ভাবে কাগজ, কলম পেলেন বালু। ইডির দাবি, চিঠি উদ্ধারের পরেই জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করা হয়েছিল। সে সময় তিনি কন্যাকে লেখা চিঠির কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি তা অস্বীকারও করতে পারেন। সেই কারণেই হস্তাক্ষর পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার কথা ভাবছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, জ্যোতিপ্রিয়ের লেখা চিঠিতে একাধিক প্রভাবশালীর নামের পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও রয়েছে। রেশন বণ্টন দুর্নীতির কালো টাকা কী ভাবে কোথায় পাচার ও আদায় করতে হবে, সেই বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয়ের লেখা পরামর্শও নাকি ছিল সেই চিঠিতে। ওই চিঠির সূত্রে তদন্ত বেশ কিছু দূর এগিয়েছে বলেও আদালতে দাবি করেছিলেন ইডির আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement