Ration Distribution Case

রেশন মামলা: ৭৫০ কোটি টাকা পাচার বালুর, ইডির অতিরিক্ত চার্জশিটে দাবি, বড় কমিশন পান ডাকুও

শঙ্কর আঢ্যের গ্রেফতারির দু’মাসের মাথায় রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় আদালতে দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করল ইডি। ৮৩ পাতার এই চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে রয়েছে শঙ্করের কথা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪০
Share:

(বাঁ দিকে) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শঙ্কর আঢ্য। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল ইডি। মঙ্গলবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, এই চার্জশিটে নাম রয়েছে রেশন ‘দুর্নীতি’তে ধৃত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের (ডাকু) নাম। সেই সঙ্গে উল্লেখ রয়েছে তাঁর কোম্পানির কথা। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এই মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বা বালুর সঙ্গে শঙ্করের ‘ব্যবসায়িক’ সম্পর্কের প্রসঙ্গ। ইডি দাবি করেছে, বালুর বিপুল পরিমাণ টাকা, বিদেশি মুদ্রাতে রূপান্তরিত করে শঙ্কর ০.৫ শতাংশ করে কমিশন পেয়েছেন। সেই থেকেই কোটি টাকা ‘আয়’ করেছেন তিনি।

Advertisement

উল্লেখ্য গত ৫ জানুয়ারি শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে জেরা করে অসঙ্গতি মেলায় সে দিন রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা দাবি করেছিল, বালুর সঙ্গে শঙ্করের যোগাযোগ ছিল। এমনকি, হাসপাতালে থাকাকালীন মেয়েকে লেখা বালুর চিঠিতে শঙ্করের কথা উল্লেখ ছিল বলে দাবি করেছিল ইডি।

শঙ্করের গ্রেফতারির দু’মাসের মাথায় রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় আদালতে দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করল ইডি। ৮৩ পাতার এই চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে রয়েছে শঙ্করের কথা। তাঁর চার কোম্পানির নাম রয়েছে চার্জশিটে। বলা হয়েছে, বালুর টাকা বিদেশি মুদ্রাতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করেছেন শঙ্কর। তার বিনিময়ে কমিশনও পেয়েছেন। ইডির দাবি, ২০১১ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা এ ভাবেই বিদেশে পাচার হয়েছে। তারই ০.৫ শতাংশ শঙ্কর পেয়েছিলেন বলেও চার্জশিটে দাবি করে ইডি।

Advertisement

জ্যোতিপ্রিয়ের বিরুদ্ধে রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছিল ইডি। এই মামলায় ধৃত শঙ্করের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি করেছে তারা। অভিযোগ, শঙ্কর ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লেনদেন করেছেন। যার মধ্যে অন্তত নয় থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা বালুর। শঙ্করের সঙ্গে তিনি হাসপাতাল থেকেও যোগাযোগ রেখেছিলেন বলে দাবি ইডির। যদিও শঙ্কর নিজে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত বছর ১২ ডিসেম্বর রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় বালু এবং ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট দিয়েছিল ইডি। সেই চার্জশিটে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তবে তদন্তে সেই টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে দাবি করা হয়েছিল। ইডি আদালতে জানিয়েছিল, রেশনের চালের টাকা নয়ছয় করেছেন বাকিবুর। তা করার জন্য ভুয়ো কৃষকদের নামে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। বেশ কয়েক জনকে কৃষক হিসাবে দেখিয়ে ওই অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছেন বাকিবুর। এ বারের চার্জশিটে বালুর সঙ্গে শঙ্করের যোগাযোগ এবং কমিশনের কথা দাবি করল ইডি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন