ভোর তখন সাড়ে ছ’টা। হঠাৎ ট্রেনের গতি কমতে শুরু করল। খানিক বাদে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ল সুনসান এলাকায়। সোমবার ভোরে মালদহের ভালুকার কাছে এই ঘটনায় প্রথমে অবাক হয়ে যান শিয়ালদহ থেকে নিউ আলিপুরগামী পদাতিক এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। কিছু পরেই দেখা যায়, ইঞ্জিন দেখা যাচ্ছে না। উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। একটু বাদে বোঝা যায়, পদাতিকের ইঞ্জিন থেকে বাকি বগিগুলো খুলে গিয়েছে। চালকের তা বুঝতে ট্রেন চলে গিয়েছে প্রায় আধ কিলোমিটার। ইঞ্জিন ফিরিয়ে এনে ফের কামরা জোড়া লাগিয়ে মিনিট ২০ মিনিট বাদে পদাতিক ফের রওনা হয়।
অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে সকালে এনজেপি-তে পৌঁছনোর পরেও উদ্বেগ কাটেনি যাত্রীদের। এই ঘটনায় রেলকর্তারাও উদ্বিগ্ন। রেল সূত্রে খবর, পদাতিক এক্সপ্রেসের দু’টি ডিজেল ইঞ্জিন ছিল। পরেরটি থেকেই খোলে বগিগুলো। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্ত বলেন, ‘‘রেলওয়ে সেফটি কমিশনার ঘটনার তদন্ত করছেন।’’ এ দিন বিকেলেই কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির সঙ্গে ভালুকা রোডে আসেন কাটিহারের ডিআরএমও। কোনও কর্মীর গাফিলতিতে ঘটনাটি ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এনজেপিতে ন’টা নাগাদ ঢোকে পদাতিক। প্ল্যাটফর্মেই রেলের মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা এসে দীর্ঘ সময় ধরে কাপলিং পরীক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯